লেবানন -০
টাই ব্রেকারে ৪-২ জয়ী ভারত
বেঙ্গালুরু: হাই-ভোল্টেজ সেমি-ফাইনালের আগে জাতীয় দলের জার্সিতে ৯২ গোলের মালিক ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন। অবসরের জল্পনা আপাতত সাজঘরে। যাবতীয় ফোকাস শনিবারের ম্যাচে ছিল। সমর্থকদের কাছে মাঠ ভরানোর আবেদন রেখে বলেছিলেন, অবসরের কথা এখনই ভাবতে রাজি নই। বরাবরই ছোট্ট ছোট্ট লক্ষ্যমাত্রায় নজর রাখি। আপাতত লেবানন ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। চাইব, শনিবার সমর্থকরা মাঠ ভরাবেন। এই লেবাননকেই মাত্র কয়েকদিন আগে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
advertisement
গোল করেছিলেন সুনীল এবং মহেশ। তবে আজ পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা ছিল। তার অন্যতম কারণ ছিলেন না ডিফেন্সের সেরা ভরসা সন্দেশ। ছিলেন না কোচ ইগর। শাস্তি পেয়ে ভিআইপি গ্যালারিতে বসেই ম্যাচ দেখতে হল তাকে। ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট দুই দল সমান ফুটবল খেলেছে।
লেবানন যেমন দুটো গোল করার মত সুযোগ তৈরি করেছিল এবং একটি ক্ষেত্রে ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত অনবদ্য সেভ করেন, তেমনই ভারতও ওপেন চান্স না পেলেও লেবানন বক্সে সুযোগ পেলেই আক্রমণ করছিল। আশিক, থাপা, চাংতেরা বক্সের মধ্যে সূক্ষ্মতা দেখাতে পারেনি বলে প্রথমার্ধে গোল পেল না ভারত। কিন্তু চাপ বজায় ছিল।
মাঝেমধ্যেই মেজাজ গরম করছিলেন দু দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের পরের ৪৫ মিনিটেও গোল হল না। ৭০ মিনিটের মাথায় রোহিত, আকাশ এবং মহেশকে একসঙ্গে নিয়ে আসে ভারত। এতে ভারতের খেলার ঝাঁঝ বাড়ে, বেশ কিছু কর্নার আদায় করে নেয় তারা। কিন্তু কিছুতেই ফিনিশিং হচ্ছিল না। ৯০ মিনিট শেষ করে অতিরিক্ত সময় চলে যায় খেলা। এই সময় দুটো সহজ সুযোগ হারান সুনীল ছেত্রী। একশো কুড়ি মিনিট শেষে ও ম্যাচ ছিল অমীমাংসিত। ফলে খেলা যায় টাই ব্রেকারে।
সুনীলের প্রথম শট গোলে চলে গেল। এরপরেই গুরপ্রীত সেভ করে দেন মাতুকের শট। ভারতের পক্ষে গোল করেন আনোয়ার। গোল করেন মহেশ। উদন্ত গোল করেন। লেবাননের ভয় মিস করেন খলিল। ভারত জিতে পৌঁছে গেল ফাইনালে।