শ্রীলঙ্কাকে টি ২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর এবার টেস্টেও ২-০ ব্যবধানে জেতার হাতছানি। সেটা হলে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথমবার পরপর দুটি দেশের বিরুদ্ধে জোড়া হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করেই সিরিজ জিতবে ভারত। ভারতের ট্র্যাক রেকর্ড বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এখনও অবধি ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট হয়েছে একবারই। ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ভারত অর্জুন রণতুঙ্গার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল ইনিংস ও ৯৫ রানে।
advertisement
ভারত এই স্টেডিয়ামে ১৯৭৪ থেকে এই পর্যন্ত ২৩টি টেস্ট খেলেছে। জয়লাভ করেছে ৮টিতে। ড্র ৯টি টেস্ট। পরাজয় ৬টিতে। শেষ পাঁচটি টেস্টের চারটিতেই জিতেছে ভারত, একটি ড্র। ১৭ বছর ধরে অপরাজেয়। ১৯৭৪ সালে চিন্নাস্বামীতে ভারতের প্রথম টেস্টেই হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৭৭ সালে এই স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় টেস্টে ভারত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতে ১৪০ রানে।
১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ অবধি পাঁচটি টেস্ট টানা ড্র হয় বেঙ্গালুরুতে। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান ভারতকে হারায় মাত্র ১৬ রানে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৫ অবধি আবার ভারত টানা তিনটি টেস্ট জেতে চিন্নাস্বামীতে। ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল। ২০০০ সালে তার পরের টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস ও ৭১ রানে পরাস্ত হয় ভারত। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের কাছে ফের ভারত হারে চিন্নাস্বামীতে।
২০০৫ সালে পাকিস্তানের কাছে ১৬৮ রানে হারার পর থেকে ভারত অপরাজেয়ই থেকেছে বেঙ্গালুরু টেস্টে। ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় কলকাতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিন-রাতের টেস্টটি গড়িয়েছিল তৃতীয় দিন পর্যন্ত। কিন্তু গত বছর আমেদাবাদে ইংল্যান্ডকে দুই দিনেই চূর্ণ করেছিল ভারত।
দেশের মাটিতে টানা তৃতীয় দিন-রাতের টেস্ট জয়ের নজির গড়ার হাতছানি রয়েছে ভারতের সামনে। অধিনায়ক রোহিত শর্মাও গড়়তে পারেন অনন্য নজির। শক্তির বিচারে ভারতের অর্ধেক নয় এই শ্রীলঙ্কা দল। তবুও প্রথম টেস্টে জঘন্য পরাজয়ের পর বেঙ্গালুরুতে জবাব দিতে মুখিয়ে থাকবে তারা।