#জোহানেসবার্গ: মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরের বলেই ছন্দপতন। আউট হয়ে গেলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। মার্কো জেনসেনের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন। ১৮ রানের ইনিংস সাজানো ছিল চারটি বাউন্ডারি দিয়ে। এরপর পূজারা (১৬), রাহানে (২০) আউট হয়ে যাওয়ার পর ঋষভ পন্থকে কিছুটা সঙ্গ দিলেন রবি অশ্বিন। ১৪ করে ফিরে গেলেন তিনি। মহম্মদ শামি এলেন।
advertisement
এই জায়গা থেকে দেখার ছিল ভারতের রান কতটা বাড়াতে পারেন ঋষভ পন্থ। ভারতের উইকেট রক্ষক দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেন। রাবাডা, এনগিদিদের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক আক্রমনাত্মক শট খেলছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩৪ করে রাবাডার বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন। বলটা হঠাৎ করে একটু লাফিয়ে উঠল। শট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
পিচ এদিন অসমান বাউন্স দেখা গেল। এই ধরনের উইকেটে শট নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারদের যেভাবে সাহায্য করল উইকেট, তাতে চোখ চকচক করতে পারে বুমরাহ, শামিদের। চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন হতে চলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিলেন রাবাডা।
কে এল রাহুল মনে হচ্ছিল আবার বড় ইনিংস খেলার পথে এগোচ্ছেন। কিন্তু তিনিও ফিরে গেলেন ২৩ করে। এনগিদির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে।মধ্যাহ্নভোজের আগে পর্যন্ত চেতেশ্বর পূজারা এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলি ধরে খেলার চেষ্টা করছেন। বিরাট একটু দ্রুত রান তোলার চেষ্টায়। কারণ সেটাই স্বাভাবিক। ভারতের লক্ষ্য থাকবে অন্তত ৩৫০ লিড নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নামানো।
যদিও শেষদিনে বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে, তবুও খেলা হলে ভারতীয় ফাস্ট বোলাররা চেষ্টা করবে দক্ষিণ আফ্রিকার আবার দশ উইকেট নেওয়ার। কিন্তু টেস্ট যাতে কমপক্ষে ড্র হয় সেটা নিশ্চিত করা আগে লক্ষ্য ভারতের। পিচে বোলারদের জন্য এখনো পর্যন্ত যথেষ্ট বাউন্স এবং সুইং আছে। শামি, বুমরাহ, সিরাজ নিজেদের মেলে ধরতে পারলে একদিনেই দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ করা সম্ভব ভারতের পক্ষে।
আপাতত ভারতের লক্ষ্য দিনের বাকি দুটো সেশনে যতটা পারা যায় রান তোলা। পূজারা সম্ভবত ধরে খেলবেন। একটা দিক আটকে রাখবেন। অন্যদিকে বাকি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ড চালু রাখার কাজ করবেন। অধিনায়ক বিরাট কোহলি বরাবর জিততে ভালোবাসেন। অস্ট্রেলিয়া হোক বা ইংল্যান্ড, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট ম্যাচ ড্র নয়, জেতার জন্য ঝাপাবে বিরাটের ভারত।
কারণ একমাত্র দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে গত ২৯ বছরে সিরিজ জয় করতে পারেনি ভারত। সেঞ্চুরিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্গ। অস্ট্রেলিয়ার যেমন গাবা, তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকার এই মাঠ। সুতরাং এখানে তাদের হারাতে গেলে ভারতীয় ব্যাটসম্যান এবং বোলারদের শেষ দুই দিনে নিজেদের উজাড় করে দিতে হবে। ভারতের লক্ষ্য ছিল মধ্যাহ্নভোজের বিরতি আগে পর্যন্ত আর উইকেট না হারানো। কারণ দিনের দ্বিতীয় সেশনে রান তোলার গতি কিছুটা বাড়াবে ভারত।