টস জিতে কেপ টাউনে বল করার সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতের অধিনায়ক কে এল রাহুল। এদিন দলে চারটি পরিবর্তন করেছিল ভারত। অশ্বিন, শার্দূল, ভেঙ্কটেশ এবং ভুবনেশ্বরের জায়গায় এলেন সূর্যকুমার, জয়ন্ত, প্রসিদ্ধ এবং দীপক চাহার। তিন নম্বর ওভারেই জানেমান মালানকে তুলে নিলেন দীপক চাহার। ক্রিকেটের পেছনে পন্থকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মালান। অল্প সময়ের মধ্যেই সরাসরি ছুঁড়ে বাভুমাকে (৮) রান আউট করেন অধিনায়ক রাহুল।
advertisement
মার্করাম (১৫) করে ফেললেন সেই দীপক চাহারের বলে। মনে হয়েছিল এই জায়গা থেকে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়ে নেবে ভারত। কিন্তু সেটা হতে দিলেন না কুইন্টন ডি কক এবং ভ্যান ডের ডুসেন। আগের দিন ৭৮ করে ফিরে গিয়েছিলেন ডি কক। তাতেই ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন। আজ ভারতের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শতরান এবং সব মিলিয়ে একদিনের ক্রিকেটে ১৭ তম শতরান করলেন ডি কক।
বুমরাহ, দীপক চাহার, জয়ন্ত যাদবদের যেখানে ইচ্ছে সেখানে মারলেন। অবশেষে বুমরাহর বলে আউট হলেন শিখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ততক্ষণে ১২৪ করে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেট রক্ষক। ডুসেনের সঙ্গে তার ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ ভারতের রক্তচাপ বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। ডি কক আউট হওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাকে শুভেচ্ছা জানালেন।
এর কিছু পরেই চাহাল ফিরিয়ে দিলেন ডের দুসেনকে (৫২) । ডিপ মিড উইকেটে দুরন্ত ক্যাচ নিলেন শ্রেয়স আইয়ার। যে গতিতে রান তুলছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, মিলার এবং ফেলুকাওকে কিছুটা আটকে রাখল ভারত। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে জয়ন্ত যাদব বেশি বুদ্ধি করে বল করলেন।
এরপর ফেলুকায়ও ৪ করে রান আউট' হলেন। এই জায়গা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল ডেভিড মিলারের ওপর। কিলার মিলার কতটা ভয়ংকর হতে পারেন সেটাই ছিল দেখার। এদিন অফ স্পিন বল করতে দেখা গেল শ্রেয়স আইয়ারকেও।
মিলারকে সাহায্য করলেন প্রিটোরিয়াস (২০)। মিলার আউট হলেন ৩৯ করে প্রসিধের বলে। ক্যাচ নিলেন কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০০ ছুঁতে না পারলেও, এই রান ভারতের পক্ষে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে।