সূত্র খবর অনুযায়ী, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের ভূমিকা ছিল নিতান্তই সীমিত। তিনি শুধু পাকিস্তান অধিনায়কের কাছে বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন যেন হ্যান্ডশেক সংক্রান্ত কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়। এমন অবস্থায় আইসিসি মনে করছে, পাইক্রফটের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আইন অনুযায়ী হ্যান্ডশেক ক্রিকেটের বাধ্যতামূলক অংশ নয়। এমনকি এমসিসি, যারা ক্রিকেটের নিয়মকানুনের অভিভাবক, তারাও বলেছে ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের হ্যান্ডশেক করতে উৎসাহ দেওয়া হয়, তবে এটি কোনো নিয়মভাঙা নয়। এই যুক্তিতেই আইসিসি তাদের জবাবে পিসিবিকে ব্যাখ্যা দিতে পারে।
advertisement
এদিকে পাকিস্তান এই ইস্যুকে বড় করে দেখাতে গিয়ে নিজেই পড়ে গেছে অস্বস্তিতে। এমনকি তারা হুমকি দিয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরশাহের বিপক্ষে তারা খেলবে না যদি পাইক্রফটকে সরানো না হয়। এতে এশিয়া কাপ ঘিরে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
মজার বিষয় হলো, “স্পিরিট অফ ক্রিকেট” লঙ্ঘনের অভিযোগ করলেও, এখন পর্যন্ত পিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে এমসিসির কাছে কোনো অভিযোগ জানায়নি। অথচ এমসিসিই ক্রিকেটের নিয়ম তৈরি ও ব্যাখ্যার একমাত্র কর্তৃপক্ষ। এই দ্বিচারিতার কারণে পাকিস্তানের অবস্থান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছে।
আরও পড়ুনঃ IND vs PAK: পাকিস্তানের সঙ্গে পরের ম্যাচে কী করবে ভারত? ‘বুক ঠুকে’ আগে থেকেই জানিয়ে দিলেন অধিনায়ক!
সব মিলিয়ে, হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে পাকিস্তানের অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়া, আইসিসির অনীহা ও এমসিসির অবস্থান—সবই বুঝিয়ে দিচ্ছে, পাকিস্তান হয়তো নিজেরই তৈরি করা বিতর্কে এবার মুখ পুড়তে চলেছে। ধাক্কা খেতে চলেছে পিসিবি।