#কানপুর: কিংবদন্তির সুনীল গাভাসকারের হাত থেকে টিম ইন্ডিয়ার টুপি পেয়েছিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত কিনা সেটা প্রমান করার ছিল শ্রেয়স আইয়ারের। ৩০৩ নম্বর ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ভরসা দিলেন মুম্বই ব্যাটসম্যান। একটু ধৈর্য ধরে থাকতে হত প্রথমদিকে। সেটাই করলেন। তারপর নিজের স্বাভাবিক খেলা তুলে ধরলেন। ভাল বল যেমন ডিফেন্স করলেন, তেমনই খারাপ বল পাঠালেন বাউন্ডারির বাইরে।
advertisement
আরও পড়ুন - IND vs NZ 1st Test, Day 1 : কাইল জেমিসনের তিন উইকেটে চা বিরতির আগে কিছুটা ব্যাকফুটে ভারত
ফ্রন্ট ফুট এবং ব্যাকফুট দুটিতেই স্বচ্ছন্দ মনে হল তাকে। কাট, পুল, ড্রাইভ সব রকম শট নিতে দেখা গেল। উইকেট ছিল মন্থর গতির। তাই যতটা সম্ভব লেট খেললেন। অন্যদিকে রবীন্দ্র জাদেজা যোগ্য সহায়তা করলেন। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের উপযুক্ত অলরাউন্ডার কেন, তা আবার প্রমাণ করলেন। দুজনে মিলে একশোর ওপর পার্টনারশিপ নিয়ে গেলেন। ডান এবং বাঁহাতি কম্বিনেশন সামাল দিতে কিছুটা অসুবিধে হচ্ছিল কিউই বোলারদের।
আশি ওভারের মাথায় নতুন বল নেওয়া হল। আক্রমণে এলেন সাউদি। দেখার ছিল নতুন বলে নিউজিল্যান্ড উইকেট তুলতে পারে কিনা। কিন্তু শ্রেয়স ঝুঁকি নিলেন না। দেখে শুনে খেলে দিলেন। জেমিসনকে পাল্টা আক্রমণ করলেন জাদেজা। পরপর দুটো বাউন্ডারি মারলেন। পূর্ণ করে ফেললেন নিজের অর্ধশত রান। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৭ তম। তারপর দেখা গেল সেই বিখ্যাত সোর্ড ড্যান্স।
তবে খারাপ আলোর কারণে ৯০ ওভার শেষ করা গেল না। ৮৪ ওভার পর্যন্ত খেলা হল। শুক্রবার সকালে প্রথম সেশন ভারত কাটিয়ে দিতে পারলে স্কোরবোর্ডে বড় টোটাল আশা করা যেতে পারে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, পন্থদের মত তারকাদের ছাড়া ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এই লড়াই প্রমাণ করে দিচ্ছে রাহুল দ্রাবিড়ের নতুন ভারত চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি।তিন নম্বর দিন থেকে উইকেটে স্পিনারদের সাহায্য মিলবে। অশ্বিন, অক্ষর, রবীন্দ্র জাদেজাদের স্পিন কিভাবে সামাল দেয় নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা সেটাই দেখার।