প্রথম টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার ছিলেন বুমরাহ। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের একমাত্র চাপে ফেলতে পেরেছিলেন তিনিই। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট না পেলেও রান আটকাতে সফল হন। কিন্তু তাঁকে ছাড়া ভারতের পেস আক্রমণ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে।
বুমরাহ না থাকলে দলের বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব থাকবে মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং আকাশ দীপ বা অর্শদীপ সিংয়ের কাঁধে। সিরাজ ও প্রসিদ্ধ প্রথম টেস্টে খেলেছেন কিন্তু দুজনই খুব একটা দাগ কাটতে পারেনি। প্রসিদ্ধ দুই ইনিংসেই ছয়ের বেশি ইকোনমিতে রান দিয়েছেন। তিনি আইপিএল ২০২৫-এ পার্পল ক্যাপ জয়ী হওয়ায় দলে জায়গা ধরে রাখতে পারেন।
advertisement
আকাশ দীপ ইতিমধ্যে সাতটি টেস্ট খেলেছেন এবং ১৫টি উইকেট নিয়েছেন। অপরদিকে, অর্শদীপ এখনও টেস্ট অভিষেক করেননি। তবে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন। তাঁর বাঁ-হাতি বোলিং ভিন্নতা আনতে পারে ভারতীয় আক্রমণে।
শার্দুল ঠাকুর প্রথম টেস্টে ব্যাটে-বলে তেমন কিছু করতে পারেননি। তাঁকে বাদ দিয়ে স্পিনার কুলদীপ যাদবকে একাদশে নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কুলদীপের উপস্থিতি বোলিং বিভাগে বৈচিত্র্য আনবে এবং ইংলিশ ব্যাটারদের বিপক্ষে কার্যকর হতে পারে। অন্যদিকে, নীতিশ কুমার রেড্ডিও একটি বিকল্প হিসেবে থাকলেও, যেহেতু লিডস টেস্টে ব্যাটিং ইউনিট ভালো করেছে, তাই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের পরিবর্তে একজন স্পেশালিস্ট বোলার খেলানোর সম্ভাবনাই বেশি। সাই সুদর্শনের পরিবর্তে খেলতে পারেন
দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ (বুমরাহ না থাকলে): যশস্বী জয়সওয়াল, কে এল রাহুল, বি সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্ত (উইকেটরক্ষক), করুণ নায়ার, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, আকাশ দীপ / অর্শদীপ সিং, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, মহম্মদ সিরাজ।
ভারত এজবাস্টনে আজ পর্যন্ত একটি টেস্টও জিততে পারেনি। তাই বুমরাহর মতো একজন ম্যাচ উইনারের না খেলেন তাহলে এজবাস্টনে প্রথম ঐতিহাসিক জয় পাওয়টা আরও কঠিন হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, বুমরাহহীন দল কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।