ভারত ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে চিফ সিলেক্টর অজিত আগারকার জানিয়েছিলেন, শারীরিক ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ থাকায় বুমরাহ পাঁচটি টেস্টে খেলতে পারবেন না, আর এই কারণেই শুভমান গিলকে বুমরাহর চেয়ে এগিয়ে রেখে টেস্ট অধিনায়ক করা হয়েছে। ভারতের দলে অনেক পেসার থাকলেও—যেমন মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণা, আকাশ দীপ ও অর্শদীপ সিং—তাদের কেউই এখনও বুমরাহর মতো পরীক্ষিত নয়। তাই বুমরাহকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ধারক হতে চলেছে।
advertisement
“আমরা প্রতিটি ম্যাচ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে চাই,”আসন্ন টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফিতে ইংল্যান্ডে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচের কোনগুলোতে জসপ্রিত বুমরাহ খেলবেন, তা আগেভাগে নির্ধারণ করতে চায় না দল। গিল বলেন স্কাই স্পোর্টসের দিনেশ কার্তিককে এক সাক্ষাৎকারে। “কোনও ম্যাচে বৃষ্টি হলে সেটাও একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। তাই ম্যাচ ধরে ধরে ওয়ার্কলোড দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমরা আগেই ঠিক করতে চাই না যে, ‘এই ম্যাচগুলোতে ও খেলবে’। কারণ এমন অনেক বিষয় আছে যা আমাদের অনুকূলে বা প্রতিকূলে যেতে পারে, এবং সেগুলোর ওপর ভিত্তি করেই ঠিক হবে সে পরের ম্যাচ খেলবে কি না।”
বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষে বুমরাহ পিঠে চোট পেয়েছিলেন। যদি তিনি ইংল্যান্ডে কিছু ম্যাচ না খেলেন, তবে আক্রমণের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব এসে পড়বে সিরাজের উপর। গিল ব্যাখ্যা করেন, সিরাজের সঙ্গে তার সম্পর্ক অনেক ঘনিষ্ঠ, যেহেতু গুজরাট টাইটান্স-এ সিরাজও তাঁর অধীনে খেলে থাকেন, এবং এই সম্পর্ক নতুন অধিনায়কের দায়িত্বে তাকে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুনঃ IND vs ENG: বৈভব সূর্যবংশীর থেকেও ভয়ঙ্কর ব্যাটার পেয়ে গেল ভারত! ১৩৪ বলে খেললেন ৩২৭ রানের ইনিংস
“সিরাজের সঙ্গে আমরা একসাথে টেস্ট অভিষেক করেছি,” গিল বলেন। “আমরা প্রায় একসাথে ওয়ানডে অভিষেকও করেছি। ও আমার আগের ম্যাচে খেলেছে। আমরা একসাথে ভারতের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছি। তাই ওর সঙ্গে একটা ভালো বন্ধন তৈরি হয়েছে। একজন খেলোয়াড়ের সামর্থ্যে বিশ্বাস রেখে, তাকে নিরাপদ পরিবেশ দেওয়া এবং নিজের সামর্থ্যে আত্মবিশ্বাসী রাখাটাই একজন অধিনায়কের অন্যতম দায়িত্ব। আর এরকম সম্পর্ক থাকলে সেটা খুব সাহায্য করে,” গিল আরও বলেন।