ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক জস বাটলার বিশ্বাস করেন, গিলের নেতৃত্ব হবে কোহলির আগ্রাসন এবং রোহিতের শান্ত স্বভাবের মিশ্রণ। “সে একজন দারুণ তরুণ খেলোয়ার, মাঠে লড়াকু মানসিকতা আছে, আবার কথা বলার সময় খুব শান্ত ও পরিমিত। কিন্তু আমি মনে করি মাঠে সে অনেক বেশি লড়াকু, তার মধ্যে একটা তীব্রতা, একটা আবেগ আছে। আমি মনে করি সে কোহলি আর রোহিতের মাঝামাঝি কিছু হবে।” মন্তব্য করেন বাটলার। গুজরাত টাইটান্সে গিলের অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বাটলার এমন মত প্রকাশ করেন স্টুয়ার্ট ব্রডের ক্রিকেট অনুষ্ঠান For the Love of Cricket-এ।
advertisement
বাটলারের মতে, কোহলি ছিলেন চরম আগ্রাসী অধিনায়ক, প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করতেন। অন্যদিকে রোহিত ছিলেন ঠাণ্ডা মেজাজের, ধৈর্যশীল, কিন্তু প্রয়োজন হলে লড়াই করতেও পিছপা হতেন না। এই দুই বিপরীত ধরণের নেতৃত্বের মাঝে শুভমান গিল নিজের একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করতে পারবেন বলে মনে করেন বাটলার।
তবে শুধু নেতৃত্ব নয়, ব্যাট হাতে গিলের দায়িত্বও কম নয়। ভারতীয় টেস্ট দলে চার নম্বর পজিশনটি ঐতিহাসিকভাবে গৌরবময়, যেখানে অতীতে শচীন টেন্ডুলকার ও পরে বিরাট কোহলি ব্যাট করেছেন। এই জায়গায় গিলের দায়িত্ব শুধু একজন অধিনায়ক হিসেবেই নয়, বরং ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
জস বাটলার আরও বলেন,”ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হওয়া নিছক একটা ক্রিকেটিং ভূমিকা নয়, বরং এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বও বহন করে। অনেকেই বলেন, ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হলেন দেশের তৃতীয় বা চতুর্থ সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। সেই অবস্থানে থাকার মানে হচ্ছে অসাধারণ চাপ সামলানো এবং অবিচল থাকা”।
আরও পড়ুনঃ IND vs ENG: স্বপ্নপূরণ বৈভব সূর্যবংশীর! ১৪ বছর বয়সেই খেলবেন ইংল্যান্ডে, দেখার অপেক্ষায় দেশবাসী
সব মিলিয়ে, শুভমান গিলের সামনে দায়িত্বের পাহাড়। তবে তার মেধা, নেতৃত্বগুণ এবং দুই প্রাক্তন অধিনায়কের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা তাকে এই পথ চলায় এগিয়ে রাখবে। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন তাকিয়ে গিলের দিকে—তিনি কতটা নিজের নেতৃত্বে ‘নতুন যুগের সূচনা’ করতে পারেন, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।