তবে এবার ইংল্যান্ড সফরে আশাবাদী হওয়া যায় যে, তার জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। অপেক্ষার অবসান ঘটবে ঘরোয়া ক্রিকেটে বছরের পর বছর ধরে ভাল পারফর্ম করে আসা সেই ক্রিকেটারের। অবশেষে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার স্বপ্নপূরণ হবে তাঁর। এখানে আমরা কথা বলছি বাংলার তারকা ব্যাটার অভিমন্যু ঈশ্বরণকে নিয়ে। যিনি ৪ বছর ধরে ভারতীয় দলে একজন ‘পর্যটক’ হয়ে উঠেছেন।
advertisement
বাংলার এই ওপেনার ঘরোয়া ক্রিকেটে বরাবরই নির্ভরযোগ্য নাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও অভিষেক না হলেও, বহুবার ভারতীয় দলের সফরে তিনি থেকেছেন। ২০২১ সালে ইংল্যান্ড সফরের সময় তাকে স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়েছিল। ২০২২ সালে বাংলাদেশ সফরে রোহিত শর্মা চোট পেলে তার একাদশে সুযোগ পাওয়ার কথা উঠেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে খেলানো হয়নি। ২০২৪ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরেও তিনি দলে ছিলেন, কিন্তু একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। প্রায় ৪৪ হাজার কিমি তিনি ভারতীয় দলের সঙ্গে ঘুরে ফেলেছেন।
সম্প্রতি, ২০২৫ সালের জুনে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক টেস্টে ৮০ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। যা তার ফর্ম ও দক্ষতার প্রমাণ। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—তিনি কি এবার শুভমান গিল ও গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন টিম ম্যানেজমেন্টকে মুগ্ধ করতে পারবেন? প্রতি বছরই অভিমন্যু সুযোগের কাছাকাছি আসেন, কিন্তু কখনও রবি শাস্ত্রী-বিরাট কোহলির যুগে উপেক্ষিত হন, আবার কখনও রোহিত-দ্রাবিড় যুগে। তবে এবার তিনি তার সুযোগ পাওয়া উচিত। তার ব্যাটিং কৌশল ও ধৈর্য টেস্ট ফরম্যাটের জন্য যথোপযুক্ত। প্রথম টেস্টে একাদশে সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
অভিমন্যু ঈশ্বরণ এই দলে এমন একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান যিনি আইপিএল বা টি-টোয়েন্টি খেলেন না। তিনি ওই সময়টা পুরোটাই ইংল্যান্ড সফরের প্রস্তুতিতে ব্যয় করেছেন। লাল বলের ক্রিকেটে তার রেকর্ড বর্তমান দলে থাকা যেকোনো ব্যাটসম্যানের চেয়ে ভালো। ফলে ওপেনিং হোক আর তিন নম্বর ব্যাটিং পজিশন, তিনি অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী।
আরও পড়ুনঃ IND vs ENG: ভয়ে থরথর কাঁপছে ইংরেজরা! ১৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস ভারতীয় ব্যাটারের, চার-ছয়ের ফুলঝুরি
তিনি এখন পর্যন্ত ১০৩টি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচে ৪৮-এর বেশি গড়ে রান করেছেন। ঝুলিতে রয়েছে ২৭টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ-সেঞ্চুরি। ১৬ বার তিনি অপরাজিত থেকেছেন। ২০২৪-২৫ রঞ্জি ট্রফিতে টানা চারটি শতরান করে নজর কেড়েছেন। এছাড়া ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াতেও দারুণ পারফর্ম করেছেন। এত অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর যদি এবারও তাকে একাদশে না রাখা হয়, তবে ক্রিকেটপ্রেমী ও বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই প্রশ্ন তুলবেন—” জাতীয় দলের ক্যাপ পাওয়ার জন্য একজন খেলোয়াড়কে আর কী করতে হবে?”