ইংল্যান্ড ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের জন্য তাদের ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, যেখানে গাস অ্যাটকিনসনের অন্তর্ভুক্তিই একমাত্র পরিবর্তন। ইংল্যান্ডের হয়ে মাত্র ১২ ম্যাচেই ৫৫টি উইকেট নেওয়া অ্যাটকিনসন অ্যান্ডারসন-ব্রড পরবর্তী যুগের অন্যতম সেরা পেসার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচে তার অনুপস্থিতি ইংল্যান্ড অনুভব করেছে। জোফ্রা আর্চার দ্বিতীয় টেস্টেই স্কোয়াডে ঢুকেছিলেন। কিন্তু খেলেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে অ্যাটকিনসন ও জোফ্রা আর্চার সরাসরি একাদশে ঢুকে পড়বেন।
advertisement
ক্রিস ওকস, ব্রাইডন কার্স ও জশ টাঙ টানা দুই ম্যাচ খেলেছেন এবং দীর্ঘ স্পেল করার কারণে দৃশ্যতই ক্লান্ত ছিলেন। ফলে ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণে সম্পূর্ণ রোটেশন হতে পারে। এক্ষেত্রে জোফরা আর্চার, জেমি ওভারটন, স্যাম কুক এবং এখন অ্যাটকিনসন সবারই সুযোগ রয়েছে। ইংল্যান্ডের পেস অ্যাটাকে ৩ পরিবর্তন হয়ে আসার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি ঘাস অ্যাটকিনসন, জোফ্রা আর্চার ও স্যাম কুকের।
প্রথম দুই ম্যাচে ফ্ল্যাট পিচে খেলা হলেও, লর্ডসে কিছুটা বোলিং সহায়ক উইকেট পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। ঐতিহ্যগতভাবে এই মাঠে সাইডওয়ে মুভমেন্ট দেখা যায়, বিশেষ করে স্লোপ থাকার কারণে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রথম দুই দিনে ২৮টি উইকেট পড়ে। তৃতীয় দিনে সূর্য ওঠার পর এবং পিচ শুকোতে শুরু করলে রান তুলতে সুবিধা হয়, যা দক্ষিণ আফ্রিকা দারুণভাবে কাজে লাগায়।
আরও পড়ুনঃ IND vs ENG: জয়ের পরও লর্ডস টেস্টে বাদ ৩ তারকা! ভারতীয় দলে বড় পরিবর্তন! এমন কান্ড আগে ঘটেনি!
এজবাস্টনের পিচটি ইংল্যান্ড নিজেদের খেলার ধাঁচ অনুযায়ী প্রস্তুত করেছিল। কিন্তু সেখানে ভারত তাদের চেয়ে ভালো ব্যাটিং ও পরে বোলিং করে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়। অ্যাটকিনসন ও জোফরা আর্চারের মতো পেসারদের ফেরাটা ইংল্যান্ডের জন্য বড় প্লাস পয়েন্ট এবং বোলিং আক্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
লর্ডস টেস্টের জন্য ইংল্যান্ড স্কোয়াড: বেন ডাকেট, জ্যাক ক্রলি, অলি পোপ, জ্যাকব বেটেল, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), জেমি ওভারটন, ক্রিস ওকস, ব্রাইডন কার্স, জশ টাঙ, শোয়েব বশির, স্যাম কুক, গাস অ্যাটকিনসন, জোফরা আর্চার।