দোহার ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় এ দলের অধিনায়ক জিতেশ শর্মা। কাতারে অনুষ্ঠিত এই আসরের ফাইনালে ওঠার জন্য বাংলাদেশ ভারতকে ১৯৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল৷ হাবিবুর রহমান সোহান হাফ সেঞ্চুরি করে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এরপর এসএম মেহেরব এবং ইয়াসির আলির দুর্দান্ত জুটিতে ইনিংসের শেষ তিন ওভারে পঞ্চাশেরও বেশি রান যোগ করে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৪ রানে পৌঁছায়। সোহান ৪৬ বলে ৬৫, মেহেরব ১৮ বলে ৪৮, এবং ইয়াসির আলি ৯ বলে ১৭ রান করেন৷ ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম গুরজাপনীত সিং৷ তিনি সর্বাধিক ২ টি উইকেট পেয়েছেন৷
advertisement
এদিকে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৯৫ রান এই টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ধামাকাই করেছিল ভারতীয় এ দল৷ বৈভব সূর্যবংশী ও প্রিয়াঙ্কশ আর্যা দারুণ ব্যাট করেন৷ বৈভব এদিন ১৫ বলে ৩৮ রান করে৷ তাঁর ইনিংসে ছিল ৪টি ছয় ও ২ টি চার৷ ২৩ বলে ৪৪ করেন প্রিয়াঙ্কশ তাঁর ইনিংসে ছিল ৪ টি চার ও ৩ টি ছক্কা৷ অধিনায়ক জিতেশ শর্মা ২৩ বলে ৩৩ রান করেন৷ সব ক্রিকেটাররাই রান পেলেও যত দ্রুত রান তোলার দরকার ছিল সেই গতিকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারছিল বাংলাদেশ৷ ফলে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানই তুলতে পেরেছিল ইন্ডিয়া এ৷ ফলে রান এক হয়ে যাওয়ায় সেমিফাইনালের ম্যাচ পৌঁছে যায় সুপার ওভারে৷
সুপার ওভারে ভারতের হার – Photo Courtesy- BCCI/X Account
আরও দেখুন- শীতকালে বাড়িতে গুটিসুটি মেরে থাকে সাপ, তাড়াতে ঘরোয়া টোটকার ঝাঁঝালো গন্ধ
সুপার ওভারে ভারতীয় রাইজিং স্টারসদের পুরোপুরি ফ্লপ শো৷ রিপন মন্ডলের বোলিংয়ের সামনে মাত্র ২ বলে ২টি উইকেট হারায় জুনিয়র ভারতীয়রা৷ অধিনায়ক জিতেশ শর্মা এবং আশুতোষ শর্মা দুজনেই নিজেদের একটি একটি বল খেলে আউট হয়ে যান৷ অধিনায়ক জিতেশ শর্মা বোল্ড হন এবং আশুতোষ শর্মা ক্যাচ আউট হন৷
এদিকে ফাইনালের টিকিট পেতে গেলে বাংলাদেশকে সুপার ওভারে করতে হবে মাত্র এক রান এই টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদশও একটি উইকেট হারায়৷ সুয়াশ শর্মার বলে দারুণ ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক রমনদীপ সিং৷ কিন্তু দ্বিতীয় বলটি ওয়াইড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাটে এক রানও না করেই ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ এ দল৷ এরই সঙ্গে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশের ছোটদের দল৷
