তবে কোন অঙ্কে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক। ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারত। শেষ ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে যদি ভারত হেরেও যায় তাহলেও এক নম্বরেই থাকবে টিম ইন্ডিয়া। ৮ ম্যাচে ৬ জয় ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। আশা করা যায় সেই ম্যাচ জিতবে প্রোটিয়ারা। ১৪ পয়েন্টে শেষ করবে টেম্বা বাভুমার দল।
advertisement
৭ ম্যাচে ৫ জয় ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ দুটি ম্যাচ অজিদের খেলতে হবে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিপপক্ষে। যেখানে প্যাট কামিন্সের দলের জেতার সম্ভাবনাই বেশি। একটি ম্যাচ জিতলেও তৃতীয় হিসেবেই সেমি ফাইনালে যাবে ব্যাগি গ্রিনরা। ফলে চতুর্থ স্থান নিয়ে লড়াইয়ে রয়েছে তিন দেশ নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের।
আফগানিস্তানের শেষ দুটি ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। যা আফগানদের পক্ষে সহজ হবে না। দুটি ম্যাচ হারলে আফগানিস্তান শেষ করবে আট পয়েন্টে। ফলে সেমির দৌড় থেকে ছিটকে যাবে। অপরদিকে, নিউডজিল্যান্ডের শেষ ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে (৯ নভেম্বর) আর পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ ইডেনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (১১ নভেম্বর)। বর্তমানে কিউইদের রানরেট ০.৩৯৮ আর বাবরদের নেট রানরেট ০.০৩৬।
নিউজিল্যান্ডের খেলা যেহেতু আগে তাই তা েদখে রণনীতি ঠিক করতে পারবে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড যদি শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয় তাহলে পাকিস্তানকে শুধু ইংল্যান্ডকে হারালে হবে না, নিউজিল্যান্ডের থেকে রান রেট বেশি করতে হবে। অর্থাৎ বড় ব্যবধানে জিততে হবে অথবা দ্বিতীয় ব্যাটিং করলে নির্দিষ্ট ওভারে ম্যাচ শেষ করতে হবে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড যদি হেরে যায় বা বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যায় তাহলে পাকিস্তানকে এমনি জিতলেই সেমির টিকিট পাকা হয়ে যাবে।
ভাগ্য যদি সহায় হয় পাকিস্তানের তাহলে তারা চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠবে। আর নিয়ম অনুযায়ী ১ নম্বর দল খেলবে ৪ নম্বর দলের বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে মেগা সেমি ফাইনালে। আর এই ম্যাচ হলে তা অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। কারণ নিরাপত্তার কারণে মুম্বইতে খেলবে না পাকিস্তান। ফলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কলকাতা সাক্ষী থাকতে পারে ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের।