ঘটনার সূুত্রপাত বাংলাদেশের ইনিংসের ২৫-তম ওভারে। সাকিব আল হাসানের বলে আউট হন সাদির সামারাউইকরামা। তারপরই যেটা ঘটে তা ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে ঘটেনি। সাকিবের আপত্তিতে টাইমড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। যে হেলমেট নিয়ে প্রথমে নেমেছিলেন, সেটা ঠিকঠাক মনে করেননি ম্যাথিউজ। পরে আরেকটি হেলমেট আনা হয়, কিন্তু সেটিও উপযুক্ত ছিল না। ম্যাথিউজের পরতে অসুবিধা হচ্ছিল, কারণ হেলমেটের স্ট্র্যাপ ভাঙা ছিল৷ কিন্তু এর মধ্যেই বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়৷
advertisement
সেইসময়েই আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান৷ আম্পায়ার অপর আম্পায়ারের সঙ্গে পরামর্শ করার পর আউটও দিয়ে দেন ! ফলে এক বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকল দিল্লি তথা গোটা ক্রিকেট বিশ্ব৷ নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটসম্যানকে ৩ মিনিটের (বিশ্বকাপের ম্যাচগুলিতে ২ মিনিট) মধ্যে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কিন্তু ম্যাথিউজ তা করতে পারেননি। তাঁর কোনও অনুরোধই কাজে আসেনি। আউট হওয়ার পর স্বভাবতই বিরক্ত দেখায় ম্যাথিউজকে।
এরপর শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৮০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতে ২টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই সময় নাজমুল হাসান শান্তো ও সাকিব আল হাসান মিলে দুরন্ত পার্টনারশিপ করে দলকে ম্যাচে ফেরান। ১৬৯ রানের পার্টনারশিপ করে দলের জয় নিশ্চিৎ করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত প্রতিশোধ পূরণ করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। ব্যক্তিগত ৮২ রান করে ম্যাথিউজের বলে আউট সাকিব। উইকেট নেওয়াক পর সাকিবের তাকিয়ে টাইমড আউডের ইশারাও করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ।
তবে ম্যাথিউজ নিজেদর বদলা নিলেও ম্যাচ জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করে ২৭৯ রান করে শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন চারিথ আসালঙ্কা। রান তাড়া করতে নেমে নাজমুল হাসান শান্তোর ৯০ ও সাকিব আল হাসানের ৮২ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। ৪১.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় বাংলা টাইগার্সরা।