তবে এবার টি ২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ বলে এর গুরুত্ব অন্যরকম। বাংলাদেশকে স্কটল্যান্ড হারিয়েছে ৬ রানে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন ক্রিস গ্রিভস। টি ২০ বিশ্বকাপের আসরে যাঁর পৌঁছানোর লড়াইটা কম চ্যালেঞ্জিং ছিল না। স্কটল্যান্ডের দুরন্ত কামব্যাকে বড় অবদান রেখেছেন গ্রিভস। ৫৩ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর মার্ক ওয়াটকে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ২৮ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে দলের হয়ে সর্বাধিক রানও গ্রিভসের।
advertisement
এরপর অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম যখন বড় পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশকে টার্গেটে পৌঁছে দিতে হিসেব কষে খেলছেন, তখন গ্রিভসই সেই জুটি ভাঙেন। দুই ব্যাটারই গ্রিভসের শিকার। আর তাতেই ফের ম্যাচের রাশ শক্ত হাতে ধরতে সক্ষম হয় স্কটল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন ক্রিস গ্রিভস। স্কটিশ অধিনায়ক বলেছেন, কিছুদিন আগেও গ্রিভস অ্যামাজনের ডেলিভারি-ম্যানের কাজ করতেন। কিন্তু সেই কাজ ছেড়়ে ক্রিকেটকেই বেছে নেন।
কয়েক মাস আগে স্কটল্যান্ড যখন টি ২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে তখনও গ্রিভস সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা ছিল না। কোয়েটজারের কথায়, গ্রিভস, ওয়াটরা আজ যে জায়গায় এসে পৌঁছেছেন তার পিছনে রয়েছে অনেক বড় স্বার্থত্যাগ। গ্রিভস স্কটল্যান্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারও নন। কঠোর পরিশ্রম করে দলে জায়গা করে নিয়েছেন। অ্যাসোসিয়েট ক্রিকেটাররা যেখানে নিজেদের দক্ষতা মেলে ধরার মঞ্চ খোঁজেন, গ্রিভস তেমনই মঞ্চ পেয়ে তার সদ্ব্যবহার করলেন টি ২০ বিশ্বকাপে।
বাংলাদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে যে সব শট গ্রিভস খেলেছেন তারও প্রশংসা করেছেন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক। গ্রিভস নিজের কঠিন লড়াইয়ের দিনগুলো ভোলেননি। একজন ডেলিভারি ম্যান থেকে ক্রিকেটে দেশের নায়ক। ইচ্ছাশক্তি এবং জেদ মানুষের অসম্ভব স্বপ্নকে সম্ভব করে, এটা তারই প্রমাণ।