দুরন্ত ছন্দে থাকা রাহুল সম্পূর্ণ পরাজিত হলেন। ভারতের প্রথম বাউন্ডারি এল তৃতীয় ওভার এর শেষ বলে। আফ্রিদিকে মারলেন সূর্যকুমার। তবে ভারতের রাহুল এবং রোহিত দুজনে আফ্রিদির শিকার হলেন যেভাবে তার প্রশংসা করতেই হয় পাকিস্তানের তরুণ বাঁহাতি পেসারের। উচ্চতা কাজে লাগালেন বুদ্ধি করে। সুনীল গাভাসকার পর্যন্ত বললেন ইনিংসের শুরুতে রোহিতের দুর্বলতা লক্ষ্য করেছিল পাকিস্তান। আর রাহুলের বলটা কিছু করার ছিল না।
advertisement
ক্রীড়াসূচি প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছিল কাউন্টডাউন। অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আজ সন্ধ্যায় টি-২০ বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান। বাইশ গজের এই লড়াইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। দুই দেশের সমর্থকদের চোখে ‘মহাযুদ্ধ’। পরতে পরতে লুকিয়ে বিভিন্ন সমীকরণ। মরুশহর দুবাই থেকে হাজার মাইল দূরে লাহোর কিংবা লখনউয়ে বসেও তারিয়ে তারিয়ে ম্যাচের রোমাঞ্চ উপভোগ করতে মুখিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
পাক সমর্থকরা গলা ফাটাচ্ছেন বাবর আজমের হয়ে। আর বিরাট কোহলির হাতেই কাপ দেখছেন ভারতীয় সমর্থকরা। পিছিয়ে নেই দুই দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। টিভির শো’য়ে তাঁরাও জড়িয়ে পড়ছেন বাগযুদ্ধে। উত্তেজনার পারদ ছুঁয়েছে বুর্জ খলিফার শিখর। ম্যাচের ফল কী হবে, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। তবে পরিসংখ্যানের দিকে চোখ বোলালে দেখা যাবে, সবদিক থেকেই এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপের মঞ্চে ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। প্রতিটি ম্যাচেই জিতেছে ভারত।
হারের গ্লানি নিয়ে ড্রেসিং-রুম কিংবা ডাগ-আউটে ফিরতে হয়েছে পাকিস্তানকে। ১২-০, শুধু সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে বিচার করলে ভুল হবে। এটা যেন ভারতীয় ক্রিকেটের শৌর্যের প্রতীক, যা প্রতি মুহূর্তে গর্বিত করে আসমুদ্রহিমাচলকে। ২০০৭ সাল পাকিস্তানকে হারিয়েই প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। তারপর কেটে গিয়েছে চৌদ্দটা বছর। ফের বিশ্বসেরা হওয়ার হাতছানি রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার সামনে। অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন বিরাট। তবে ঝুলিতে নেই আইসিসি’র কোনও ট্রফি
