আইসিসি যে দল ঘোষণা করেছে তাতে ভারতের রোহিত শর্মা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ঋষভ পন্থের নাম রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফরে ভাল ছন্দে ছিলেন রোহিত। দুরন্ত ব্যাটিং করেন তিনি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভারতের হয়ে দুর্দান্ত শুরু করছিলেন রোহিত শর্মা। দুটি শতরান সহ মোট ৯০৬ রান করেন রোহিত। গড় ৪৭:৬৮।
advertisement
অন্যদিকে দলের উইকেটরক্ষক পন্থ। ব্যাট হাতে বিদেশের মাটিতে বড় রান করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ব্রিসবেনে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে অনবদ্য ব্যাট করেন ঋষভ পন্থ। গাববায় ভারতের নতুন ইতিহাস সম্ভব হয়েছিল তার জন্যই। ১২ টি টেস্ট ম্যাচে মোট ৭৪৮ রান করেন ঋষভ। গড় প্রায় ৪০। ২৩ ইনিংসে ৩৯ আউট করেন উইকেট রক্ষক হিসেবে।
চলতি বছরে ভাল ছন্দে রয়েছেন অশ্বিনও। বল হাতে মনে রাখার মত কিছু স্পেল করেছেন। ব্যাট হাতে বিরাটের খারাপ ফর্ম তাঁকে দলের বাইরে রেখেছে। ২০১৯ সালের পর থেকে শতরান নেই তাঁর। অস্ট্রেলিয়া সফরে কয়েকটি টেস্ট খেলেননি। যেগুলি খেলেছেন তাতে বিশেষ বড় রান নেই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও হেরেছেন ক্যাপ্টেন কোহলি। তাই হয়তো সুযোগ হয়নি দলে।
রোহিত ছাড়া দলের আর এক ওপেনার শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুণারত্নে। তিনে রয়েছেন অজি মার্নাস লাবুশেন। চারে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট। পাঁচে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনি এই দলেরও অধিনায়ক। অলরাউন্ডার হিসেবে অশ্বিনের সঙ্গে রয়েছেন পাক স্পিনার ফাওয়াদ আলম। দলের তিন পেসার হলেন নিউজিল্যান্ডের কাইল জেমিসন এবং পাকিস্তানের হাসান আলি ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
হাসান এবং শাহিন তিনটি ফরম্যাটেই ধারাবাহিক পারফর্ম করেছিলেন। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল পর্যন্ত দাপট দেখানোর পেছনে শাহিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে অনবদ্য বল করেছিলেন পাক স্পিডস্টার।
অশ্বিনকে ইংল্যান্ডের মাটিতে দলের সঙ্গে নিয়ে গিয়েও একটিও টেস্ট ম্যাচ খেলানো হয়নি। না হলে হয়তো তার পরিসংখ্যান আরও ভাল হত। অশ্বিনের লড়াকু ব্যাটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিডনি টেস্ট ড্র করতে পেরেছিল ভারত।