ব্যক্তিগত জীবনে যোগরাজ সমস্যা জর্জরিত ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন ক্রিকেটার- কোচ তিনি তাঁর একাকিত্বের সঙ্গে লড়াই সম্পর্কে কথা বলেছেন। এমনকী বলেছেন যে তিনি এখন ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত’, কারণ তার জীবন সম্পূর্ণ।
নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের থেকে দূরে যোগরাজ। তিনি বলেছেন, অচেনা মানুষের ওপর খাবারের জন্য তিনি নির্ভর করে থাকেন। যদিও তিনি তাঁর পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি পরিবারের লোকজনের কাছে কোনও কিছুই চান না।
advertisement
“আমি সন্ধ্যায় একা বসি, ঘরে কেউ থাকে না। খাবারের জন্য অচেনাদের ওপর নির্ভর করি, কখনো এক জন, কখনো অন্য কেউ। তবে আমি কাউকে বিরক্তি করি না। যদি আমি ক্ষুধার্ত থাকি, কেউ না কেউ খাবার দেয়। রাঁধুনীরা আছে, ওরা খাবার পরিবেশন করে চলে যায়।” বলেছেন যোগরাজ।
“আমি আমার মা, সন্তান, বউ, নাতি-নাতনি, পরিবারের সবাইকে ভালবাসি। কিন্তু আমি কোনও কিছু চাই না। আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। আমার জীবন সম্পূর্ণ, যখন ঈশ্বর চাইবেন তিনি আমাকে নিয়ে যেতে পারেন। আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।” তিনি আরও বলেন।
৬২ বছর বয়সী যোগরাজ জানান, তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা তিনি পেয়েছিলেন যখন তার স্ত্রী ও ছেলে যুবরাজ তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নিজেকে ‘নির্দোষ’ হিসেবে অভিহিত করে যোগরাজ বলেন, তার পর থেকেই একাকিত্ব তাঁকে গ্রাস করে।
“যখন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে যুবি ও তার মা আমাকে ছেড়ে চলে গেল, তখন সেটা আমাকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিল। যার জন্য আমি আমার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছি, আমার পুরো যৌবন, সেই নারীও আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে?” বলছিলেন যোগরাজ।
আরও পড়ুন- একের পর এক ডাবল সেঞ্চুরি, বৈভবের পর আরও এক আগামীর তারকা পেয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেট
যোগরাজ সিং-এর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার ছিল ছোট। তিনি ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে ভারতের হয়ে একটি টেস্ট এবং ছটি ওডিআই খেলেছেন, তবে চোটের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই অবসর নেন। তবে তিনি কোচিংয়ের মাধ্যমে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
