তাই শুক্রবার যখন প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ১৬৮ রান তুলল, তখন তাদের কমপক্ষে আফগানিস্তানকে ১০৬ রানের মধ্যে অলআউট করতে হত। তবেই নিজেদের রান রেট ইংল্যান্ডের থেকে সুবিধা জনক জায়গায় রাখতে পারত তারা। আজ অস্ট্রেলিয়া দলে ছিল না ফিঞ্চ এবং বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। বিশেষত স্টার্ক না থাকাটা অস্ট্রেলিয়ান দলের পক্ষে ছিল বড় ধাক্কা।
advertisement
প্যাট কামিন্স, হাজেলউড ভাল বোলার। কিন্তু উইকেট তোলার ক্ষেত্রে স্টার্ক এগিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এদিন ব্যাটাতে সফল ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৫৪) এবং মিচেল মার্শ (৪৫)। ডেভিড ওয়ার্নার এবং মার্কোস স্টোইনিস দুজনেই করেন ২৫ রান। আফগান বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট নেন নবিন উল হক। ব্যাট করতে নেমে উসমান (২) আউট হয়ে গেলেও গুরবাজ (৩০) করে গেলেন।
গুলবদিন এবং ইব্রাহিম বুদ্ধি করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন আফগানিস্তানকে। দশ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ৭২/২। ধীরে ধীরে নিজেদের লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছিল তারা। কিন্তু এরপর ম্যাক্সওয়েল একটি দুর্দান্ত ডিরেক্ট হিটে রান আউট করলেন গুলবদিনকে। এলেন নবি।
জাম্পার পরের বলে আউট ইব্রাহিম (২৬)। এক বল পরেই আউট নাজিব। এক ওভারে তিনটে উইকেট। এখানে নিশ্চিত হয়ে গেল ম্যাচ জিততে চলেছে অস্ট্রেলিয়া। নবি ফিরে গেলেন এক রান করে। শেষ দিকে একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন রশিদ খান। ঝড়ো ইনিংস খেলে তিনি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। শেষ ওভারে আফগানদের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। স্টইনিস দিলেন ১৮। অস্ট্রেলিয়া জিতে গেল ৪ রানে। রশিদের লড়াই দাম পেল না। দাম পেল না রশিদের দুরন্ত লড়াই, চার রানে জিতে বিশ্বকাপে টিকে থাকল অস্ট্রেলিয়া