কিন্তু চলতি বছরে ধারাবাহিকতার অভাব দেখা যাচ্ছে তাদের পারফরম্যান্সে। মাত্র ২ টি ম্যাচ জিততে পেরেছে তারা। পাঁচটি ম্যাচ ড্র করেছে। শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছে হানসি ক্লিকের ছেলেরা, একবার হাঙ্গেরি ও দুবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ড্র করেছে তারা, শুধু ইতালির বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে তারা।
আরও পড়ুন - মেসির অর্ধেক নয় নেইমার! তবুও আর্জেন্টিনার হাতে কাপ দেখতে নারাজ `বড়' রোনাল্ডো
advertisement
জার্মান কোচ হানসি ফ্লিকের কাছে কিছু অনবদ্য ফুটবলার আছেন, যারা ম্যাচের রং যেকোনো মুহূর্তে বদলে দিতে পারেন। ম্যানুয়েল নেয়ার ও থমাস মুলারের মত বহু ম্যাচের নায়ক দলের প্রতিভাবান ফুটবলারদের থেকে সেরাটা বের করে আনবেন এমনটাই আশা করছেন জার্মান কোচ।
চোট আঘাতের কারণে কিছু ফুটবলার কাতার বিশ্বকাপে নেই। ফর্ম হারিয়েছেন বেশ কিছু ফুটবলার। এমতাবস্থায় জার্মানিকে নিয়ে এই বিশ্বকাপে অনেক ফুটবল পন্ডিত আশাবাদী নন। যদিও বিশ্বকাপে তাদের ট্র্যাক রেকর্ড ঈর্ষণীয়। চারবারের চ্যাম্পিয়নের পাশাপাশি, চারবারের রানার্স আপ ও চারবারের সেমিফাইনালিস্ট এই দেশ।
তবে দলের তরুণ ফুটবলাররাই এই বিশ্বকাপে তাদের ভাল প্রদর্শনের চাবিকাঠি হতে যাচ্ছে। যে চারজন ফুটবলার জার্মানির পঞ্চম বিশ্বকাপ জয়ের জন্য প্রধান অবলম্বন তারা হলেন ম্যানুয়েল নেয়ার, যশুয়া কিমিচ, থমাস মুলার, জামাল মুসিয়ালা।
ম্যানুয়েল নেয়ার
গোল পোস্টের নিচে ৩৬ বছর বয়সী নেয়ার হানসি ফ্লিকের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। বিপক্ষ স্ট্রাইকারদের কাছে প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতে পারেন তিনি। ২০১৪ সালে অনবদ্য পারফরম্যান্স করলেও, চার বছর পর একেবারেই দলের ভরসা জোগাতে পারেননি তিনি। দলের অধিনায়ক তিনি। তিনি ফর্মে থাকলে বিশ্বকাপে জার্মানির অনেক দূর যেতে পারে।
যশুয়া কিমিচ
ডিফেন্সিভ, হোল্ডিং, এটাকিং ,মাঝমাঠে সব দায়িত্বই পালন করেছেন কিমিচ। মাঝমাঠে তার মত অলরাউন্ড ফুটবলার বর্তমানে বিশ্ব ফুটবলে খুব কমই আছেন। বল ধরে রাখার ক্ষমতা, রক্ষণে দক্ষতা, পাস, থ্রো ইনে তার সজাগ দৃষ্টি বিপক্ষ দলকে সমস্যায় ফেলতে পারে।
থমাস মুলার
বিশ্বকাপে তিনি বরাবরই বিপক্ষের ত্রাস। ২০১৮ বিশ্বকাপে তিনি গোল করতে না পারলেও ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ মিলিয়ে ১০ টি গোল করেছেন তিনি। দলের তারকা ফুটবলার তিনি। তার থেকে ফ্লিকের অনেক চাহিদা।
জামাল মুসিয়ালা
ম্যাচে রং বদলে দেওয়ার ক্ষমতা আছে এই তরুণ ফুটবলারের। এই বিশ্বকাপে নতুন তারকা হয়ে উঠতে পারেন মুসিয়ালা।