যদিও গৌতম গম্ভীর মনে করেন ১২ বছর আগে ভারতের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের কারণ হিসেবে সব জায়গায় মহেন্দ্র সিং ধোনির অবদান যতটা দেখানো হয়, ততটা বলা হয় না যুবরাজ, জাহির, মুনাফ, রায়না অথবা সচিন তেন্ডুলকরের কথা। ওই ফাইনালে ধোনি ৯১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। শ্রীলংকার কুলুশখেরার বলে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে ভারতের স্বপ্ন সফল করেছিলেন।
advertisement
গম্ভীর মনে করেন মিডিয়া ধোনির ইনিংসকে যতটা গুরুত্ব দেয়, ততটা দেওয়া হয় না ওই ম্যাচের তার ৯৭ রানের ইনিংসকে। আজ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তবে সেটা নিয়ে তার মন খারাপ নেই। গম্ভীর বলতে চান আজকালকার দিনে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় মিডিয়ার পছন্দের ক্রিকেটারকে, সেটা দেখতে খারাপ লাগে। মনে হয় মিডিয়া যেন একজন ক্রিকেটারের পাবলিক রিলেশনের কাজ করছে।
গৌতম সাক্ষাৎকারে আজ জানিয়েছেন যেভাবে ২০১১ সালের টুর্নামেন্টে জাহির ওপেনিং স্পেল করেছিলেন এবং যুবরাজ অল রাউন্ড পারফর্ম করেছিলেন সেটা সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা উচিত ছিল মিডিয়ার। সচিন সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন। যুবরাজ হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা। কিন্তু মিডিয়া ধোনির ছক্কাকে এমন ভাবে প্রমোট করেছিল যাতে মনে হয়েছিল তিনি একাই ভারতকে ট্রফি দিয়েছেন।
গৌতমের মতে দুঃখের ব্যাপার হলেও এটাই সত্যি যে মিডিয়া একজন প্লেয়ারের ভাগ্য বিধাতা হয়ে উঠছে আজকাল। অনেক সময় সেটা সঠিক বিচার পায় না। যোগ্যতা কম, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির খেলা এখানে বেশি থাকে। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। ধোনি অবশ্যই ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক।
তিনটে ট্রফি দিয়েছেন। কিন্তু গৌতম মনে করিয়ে দিতে চান একজন অধিনায়ক ততটাই ভাল, যতটা তার দল। তাই ধোনি একা দেশকে কিছু দেননি। ওই সময় প্রত্যেক ক্রিকেটার নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলেছিল বলেই ভারত তিনটে আইসিসি ট্রফি জিততে পেরেছিল। এটা যেন কেউ ভুলে না যান।