দল ঘোষণার পর প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের নীরবতাও এই বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা গিলকে বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে গম্ভীর কোনও মন্তব্য না করে সরাসরি গাড়িতে উঠে চলে যান। তাঁর এই চুপ থাকা নির্বাচনী সিদ্ধান্তের গভীরতা এবং টিম ম্যানেজমেন্টের অভ্যন্তরীণ ভাবনাকে ইঙ্গিত করছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
চিফ সিলেক্টর অজিত আগরকরের নেতৃত্বে নির্বাচক কমিটি গিলকে বাদ দেওয়ার পেছনে মূলত তাঁর সাম্প্রতিক টি২০ ফর্মকেই গুরুত্ব দিয়েছে। এশিয়া কাপে টি২০ দলে ফিরে গিল ১৫ ইনিংসে মাত্র ২৯১ রান করেন, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৭.২৬। কিন্তু কোনও অর্ধশতরান করতে না পারা এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪৭ রানই তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর হওয়ায় নির্বাচকদের আস্থা নড়বড়ে হয়ে যায়।
চোট গিলের অবস্থান আরও দুর্বল করে দেয়। গোড়ালির চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টি২০ ম্যাচ খেলতে না পারায় সঞ্জু স্যামসনের সুযোগ আসে। সেই ম্যাচে স্যামসন ২২ বলে ৩৭ রান করে নিজের দাবি জোরালো করেন। ফলস্বরূপ গিল ও জিতেশ শর্মা দল থেকে বাদ পড়েন এবং অভিষেক শর্মার সঙ্গে স্যামসনকে ওপেনিং জুটি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব নিজেও ব্যাট হাতে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চলতি বছরে টি২০-তে ১৯ ইনিংসে মাত্র ২১৮ রান, স্ট্রাইক রেট ১২৩.২—যা তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের সবচেয়ে দুর্বল পর্যায়। তবুও PTI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অধিনায়কত্বের কারণেই তিনি দলে জায়গা ধরে রেখেছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সুযোগ দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে এবং পারফরম্যান্সই শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত বিচারক হবে।
