আসুন দেখা যাক পাঁচ সর্বোচ্চ বেতন প্রাপক কোচেদের যারা বিশ্বকাপে তাদের মস্তিস্ক ও রণকৌশলের মাধ্যমে বেঞ্চে বসেই বিপক্ষ দলকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই করবেন। তাদের একটা সিদ্ধান্তের ওপরেই বাঁচা মরা নির্ভর করে দলগুলোর। তবে অধিকাংশ সময় আমরা ফুটবলারদের বিশাল মাইনে সম্পর্কে জানলেও ম্যানেজারদের মাইনের সম্পর্কে ধারণা রাখি না। একবার দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সেরা ম্যানেজারদের মাইনে।
advertisement
হানসি ফ্লিক ( জার্মানি)
চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি ২০১৮ সালে গ্রূপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। এবার জার্মানিকে পঞ্চম বারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার দায়িত্ব তার উপরই। হানসি ফ্লিক হলেন এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপক কোচ। ফ্লিক বছরে ৫.৫ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ রোজগার করেন।ভারতীয় মুদ্রায় যা ৫৩ কোটিরও বেশি।
গ্যারেথ সাউথগেট ( ইংল্যান্ড )
গ্যারেথ সাউথগেট এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপক কোচ। বার্ষিক ৪.৯ মিলিয়ন পাউন্ড রোজগার করেন ব্রিটিশ কোচ। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৪৭ কোটি ৩১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ৫৬ বছর পর ব্রিটিশদের দেশে বিশ্বকাপ নিয়ে আসার দায়িত্ব তার ঘাড়ে। তার কোচিং স্টাইল নিয়ে সমালোচনা হলেও, তার হাত ধরেই বিশ্বফুটবলে ইংল্যান্ডের সোনার যুগ ফিরবে এমনটাই আশা ইংল্যান্ডের ফুটবল কর্তা ও অগনিত সমর্থক ও ফুটবল প্রেমীদের।
দিদিয়ার দেসচ্যাম্পস (ফ্রান্স )
দিদিয়ার দেসচ্যাম্পসের তত্তাবধানেই ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ফ্রান্স। ফ্রান্স ২০২০ সালের ইউরো কাপও জিতবে বলে অনেকেই আশা করলেও, শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিতে হয় ফ্রান্সকে। এবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের খুব শক্তিশালী স্কোয়াড। কিন্তু এই মূহুর্তে তারা অপরাজেয় দল নয়।
টানা দ্বিতীয়বার ও তৃতীয়বারের জন্য ফ্রান্সকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার দায়িত্ব দেসচ্যাম্পসের উপর। তিনি হলেন এই বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপক কোচ। বার্ষিক ৩.২ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ উপার্জন করেন দিদিয়ার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৩০ কোটি ৮১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭০৪ টাকা।
তিতে ( ব্রাজিল)
২০১৬ সাল থেকেই ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্বে টিতে। ২০১৯ সালে ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন টিতে। কাতার বিশ্বকাপের পর ব্রাজিল দলের দায়িত্ব তিনি ছেড়ে দেবেন বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। ব্রাজিলকে রেকর্ড ষষ্ঠবারের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেই বিদায় নিতে চান টিতে।
কোচ হিসেবে কাতার বিশ্বকাপই হয়তো শেষ বিশ্বকাপ হবে। সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপক কোচেদের তালিকায় তিনি চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। বার্ষিক ৩ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ উপার্জন করেন টিতে। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ২৮ কোটি ৮৮ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৫০ টাকা।
লুইস ভ্যান গাল ( নেদারল্যান্ডস )
তার কোচিং অনেক ট্রফি দিয়েছে ক্লাব ফুটবলে। ৭১ বছর বয়সী প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও বার্সিলোনা ম্যানেজারের এটাই ম্যানেজার হিসেবে শেষ বিশ্বকাপ। ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য কাতার বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের অভিযান শেষ হলেই, তিনি ডাচদের কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেবেন।
তিনি এই বিশ্বকাপে বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপক কোচ। তার বার্ষিক আয় ২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ২৪ কোটি ৭ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭২ টাকা। এখন দেখার কাতার বিশ্বকাপে কোন কোচ কত ভালো বিপক্ষ কোচের মস্তিস্ককে টেক্কা দিতে পারেন।