( থিও, মুয়ানী)
মরক্কো - ০
#দোহা: আজকের আগে পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের একমাত্র অপরাজিত দল ছিল মরক্কো। একটা দলের রক্ষণভাগ কতটা জমাট হতে পারে রীতিমতো তার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে দলটি। কিন্তু ফরাসিদের ছিল দুর্দান্ত আক্রমণভাগ। লড়াইটা তাই ফ্রান্সের আক্রমণভাগের সঙ্গে মরক্কোর রক্ষণভাগের জানাই ছিল। ওয়ালিদ রেগরাগুই আগেই জানিয়েছিলেন বেলজিয়াম, স্পেন এবং পর্তুগালকে হারিয়ে আসার পর তাদের আত্মবিশ্বাস ভাল জায়গায়।
advertisement
এমনকি বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। আশরাফ হাকিমি এই মরক্কো দলটার সবচেয়ে বড় তারকা। হাকিম জিয়শ, বোফাল ও ইউসেফ এন-নেসিরির ওপরেও নির্ভর করছিল অ্যাটলাস লায়নসদের ভাগ্য। ম্যাচ শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে গেল ফ্রান্স। গ্রিজম্যান, এমবাপে হয়ে বল পেয়ে যান থিও হার্নান্দেজ। লেফট ব্যাক অনেকটা পা তুলে ভলি মারেন।
টুর্নামেন্টে প্রথমবারের জন্য পিছিয়ে পড়ে মরক্কো। প্রথমার্ধে আর গোল শোধ করতে পারেনি তারা। যদিও অনাহি এবং ইয়ামিকের প্রচেষ্টা অল্পের জন্য গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বজায় রাখে মরক্কো। এদিন ফ্রান্সের ডিফেন্স উপমাকানো ছিলেন না। তার জায়গায় কনাতে শুরু করেন। দ্বিতীয় ধারে মরক্কো নিয়ে আসে আটিয়াত আল্লাহকে।
দুদিকের উইং থেকে বারেবারে আক্রমণ তুলে আনছিল আফ্রিকার দেশটি। কিন্তু ফরাসি ডিফেন্সে ভরণে, কোনাতে একের পর এক আক্রমণ প্রতিহত করছিলেন। মিডফিল্ড অঞ্চলে মরক্কোর আমরাবাত দুর্দান্ত ফুটবল খেললেন। ৬৫ মিনিটে জিরুকে তুলে নিয়ে থুরামকে নিয়ে আসে ফ্রান্স। খেলাটা ক্রমশ ফিজিক্যাল হয়ে পড়ছিল।
কড়া ট্যাকল করা হয় এমবাপেকে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। তবে বিপদ ঘটেনি কিছু। মরক্কোর হাকিম জিয়েচ বিপদের গন্ধ তৈরি করছিলেন বারবার। কিন্তু বক্স স্ট্রাইকার না থাকায় গোল পাচ্ছিল না মরক্কো। অন্যদিকে নিজেদের ডিফেন্স শক্ত রেখে ফ্রান্স কাউন্টার অ্যাটাক তৈরি করার সুযোগ খুজছিল বারবার। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসে গিয়েছিল থুরামের। হেড অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়।
৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে দিল ফ্রান্স। পরিবর্ত হিসেবে নামা কলো মুয়ানি শুধু বলটা জালে পাঠালেন পা দিয়ে। মরক্কোর ডিফেন্সকে তছনছ করে বলটা সাজিয়ে দিয়েছিলেন সেই এমবাপে। ভিআইপি বক্সে দেখা গেল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়াল মাকোর আনন্দে হাততালি দিচ্ছেন। সেটাই স্বাভাবিক। রাশিয়ার পর আবার কাতারের মাটিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স।