মাউন্ট লাভিনিয়া সৈকতের কাছে একটি অরক্ষিত রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। ওই সময় তিনি দলের রানিং সেশন শেষে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনায় তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে, শরীরের একাধিক হাড় ভেঙে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর দীর্ঘ চিকিৎসার পুরো সময়জুড়ে গোটা পরিবার তাঁর পাশে ছিল।
advertisement
শ্রীলঙ্কার একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র তরুণ এই ক্রিকেটারের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার রোশন আবেসিংহের বক্তব্য উদ্ধৃত করেছে। আবেসিংহে বলেন, “এইমাত্র দুঃখজনক খবরটি শুনলাম যে আকশু ফার্নান্দো আর নেই। তিনি ছিলেন সত্যিই একজন অসাধারণ তরুণ, যার সম্ভাবনাময় কেরিয়ার এক নিষ্ঠুর দুর্ঘটনায় থেমে যায়। নিজের স্কুল ও শেষ ক্লাব রাগামার হয়ে তিনি ছিলেন একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়। যারা তাকে চিনত, আমাদের সবার জন্যই এটি একটি শোকের দিন। তিনি ছিলেন হাসিখুশি, বন্ধুসুলভ এবং একজন ভদ্র মানুষ। আমরা তোমাকে মিস করব আকশু, এবং সারা জীবন তোমাকে মনে রাখব।”
দুর্ঘটনার সময় ফার্নান্দোকে শ্রীলঙ্কার অন্যতম উজ্জ্বল তরুণ ক্রিকেট প্রতিভা হিসেবে বিবেচনা করা হত। তিনি ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্ব করেন, যেখানে বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে তার পারফরম্যান্স ছিল উল্লেখযোগ্য। ওই ম্যাচে তিনি ৫২ রান করেন এবং শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন, যদিও দলটি অল্পের জন্য ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন- ২০৮ টি ওডিআই, ৬৭ টি টেস্ট খেলা ক্রিকেটার কোমায়, মেনিনজাইটিসের সঙ্গে কঠিন লড়াই চলছে
কলম্বোর সেন্ট পিটার্স কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ফার্নান্দোর স্কুল ক্রিকেট কেরিয়ার ছিল অসাধারণ। তিনি অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ দলের অধিনায়কত্ব করেন এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বগুণ ও মাঠের নৈপুণ্য তাকে কোল্টস স্পোর্টস ক্লাব, পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাব, চিলাও ম্যারিয়ান্স এবং রাগামা স্পোর্টস ক্লাবসহ একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্থানীয় ক্লাবে খেলার সুযোগ করে দেয়।
