এখন তাঁর মাথায় শুধু ব্যবসা। বলেছেন, জীবনে অনেক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছি। আর নতুন করে কিছু দেখার নেই। ২০১৩-র পর থেকে খেলার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ নেই। পুরোপুরি ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছি। ২০১২ সালে রউফের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন এক মডেল।
এখনও তিনি ওই ঘটনা স্বীকার করতে চান না। বলেছেন, মেয়েটি অভিযোগ করার পরের মরসুমেও আইপিএলে আমি আম্পায়ারিং করেছিলাম। তবে এটা মানছেন, ওই ঘটনা কিছুটা হলেও তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছিল। রউফের জীবনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছিল ২০১৬ সালে। তাঁকে পাঁচ বছর নির্বাসিত করেছিল বিসিসিআই।
advertisement
২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল রউফের। অভিযোগ ছিল, জুয়াড়িদের থেকে দামি দামি উপহার এবং টাকা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট দলের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩-র পর থেকেই ক্রিকেটের মূলস্রোত থেকে দূরে সরতে থাকেন রউফ। তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও আর ম্যাচ পরিচালনা করতে দেখা যায়নি।
সেই প্রসঙ্গে রউফ বলেছেন, জীবনের সেরা সময় আইপিএলে কাটিয়েছি। লান্ডা বাজারে যে দোকান রউফ চালান, সেখানে পুরনো জামাকাপড়, জুতো কম দামে পাওয়া যায়। হঠাৎ করে এরকম একটা দোকান তিনি খুলতে গেলেন কেন? রউফ বলেছেন, আমার কর্মচারীদের জন্য এই কাজ করি। ওদের সংসার যাতে চলে, সেটার চেষ্টা করি।
কোনও লোভ নেই। অনেক টাকা দেখেছি জীবনে। আম্পায়ার হিসেবে নিজের সেরাটা দিয়েছিলাম। এখন ব্যবসায়ী হিসেবে সেরাটা দিতে চাই। কিছু মানুষ আমাকে ঘিরে বেঁচে থাকতে পারলে ক্ষতি কি? তবে ভারত পাকিস্তানের সম্পর্ক ভাল থাক এটাই চান রউফ।