কারণ, সিডনি শহর যে রাজ্যের অধীন, সেই নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় (পার্থ এই রাজ্যের শহর) ঢুকতে গেলে নতুন করে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। এর সঙ্গে যোগ করে নিন, সফরে খেলোয়াড়দের পরিবার নিয়ে যাওয়ায় সীমাবদ্ধতা আছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের সময়ে খেলোয়াড়দের পরিবারকে খেলোয়াড়দের পাশে থাকার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে আলোচনা করছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Braithwaite on Shakib : সাকিবকে ফেরানো নাইটদের সঠিক সিদ্ধান্ত বলছেন ব্রেথওয়েট
জট পেকেছে এবারের অ্যাশেজের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম নিয়ে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ৮ ডিসেম্বর ব্রিসবেনের গ্যাবায় অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে নামার কথা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কঠোর কোয়ারেন্টিন নীতি দেখে জো রুট ও তাঁর দলের এবার অ্যাশেজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া নিয়ে সংশয় জেগেছে। একের পর এক সিরিজ ও টুর্নামেন্টে খেলছে ইংল্যান্ড। আর তা করতে গিয়ে জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকতে থাকতে মানসিক ক্লান্তি ধরে গেছে ইংলিশদের।
অ্যাশেজের মতো একটা সিরিজ অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের কাছে কী, সে তো আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কঠোর কোয়ারেন্টিন নীতি দেখে রুটরা একটু দ্বিধায় আছেন। অস্ট্রেলিয়ার দলকে সেভাবে কোয়ারেন্টিনই করতে হয়নি। অথচ সেই অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়েরাই কিনা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজে কোয়ারেন্টিন নিয়ে ইংলিশদের নীতিবাক্য শোনাচ্ছেন! ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেইন এসব হজম করতে মোটেই রাজি নন।
তাঁর চোখে, অস্ট্রেলিয়ানদের এসব বুলি আওড়ানো আসলে এক ধরনের ‘লেকচার’ দেওয়া। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ানদের ধুয়েও দিয়েছেন হুসেইন। ইংলিশ দৈনিক ডেইলি মেইলে লেখা কলামে হুসেইন বলছেন, অস্ট্রেলিয়ানদের আসলে ‘সহমর্মিতার অভাব’ আছে। শেষ কয়েক মাসে ইংল্যান্ড পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ক্রিকেট খেলেছে। মোট ২২ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। আর অস্ট্রেলিয়া খেলেছে আটটি টেস্ট। তাও সব নিজেদের দেশে। তাই নাসির হোসেন মনে করেন অস্ট্রেলিয়ানদের জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন নেই ইংল্যান্ডকে।