২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে ফুটবল দুনিয়া জানতে পেরেছিল মেসি, রোনাল্ডোর নাম মাহাত্ম্য। দুই সুপারস্টারের তুল্যমূল্য লড়াই। যা দেখার জন্য ১২ বছর পরও মুখিয়ে থাকেন ফ্যানেরা। নেইমারকে বাদ দিলে এক যুগে কোনও নতুন তারকা সেভাবে উঠে না আসায় লোক টানতে ভরসা দুই মহাতারকা। তবে তিনজনই আসল ট্রফি দিতে পারেননি।
২০০৬ সালে জার্মানিতে নীল-সাদা জার্সিতে প্রথমবার বিশ্বকাপে নেমেছিলেন মেসি। এটি তাঁর চতুর্থ বিশ্বকাপ। এপর্যন্ত বিশ্বকাপের ১৫টি ম্যাচে তাঁর গোল ৫টি। রোনাল্ডোরও বিশ্বকাপ অভিযান ২০০৬ তে। বিশ্বকাপে ১৩টি ম্যাচে সি আর সেভেনের গোল ৩টি। গতবার ঘরের মাঠে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলা নেইমার ৫ ম্যাচে ৪ গোল করেন। মেসির ফ্রিকিক, ড্রিবলিং তুলনাহীন। গত বিশ্বকাপে কার্যত একার কাঁধে তুলেছিলে ফাইনালে। তবে বার্সেলোনার মতো আর্জেন্টিনার জার্সিতে টিমমেটরা না থাকায় মেসির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। দু’বার কোপা আমেরিকার ফাইনালে হেরেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের জন্য যৌনপেশায় কোপ ! রুশ প্রশাসনের কড়াকড়িতে বিপাকে কয়েক হাজার যৌনকর্মী
রোনাল্ডোর গোলের খিদে একইরকম। বিশ্বকাপ না দিতে পারলেও ইউরো কাপ দিয়েছেন পর্তুগালকে। নেইমার বিশ্বকাপ হাতে নিতে না পারলেও ঘরের মাঠে জার্মানিকে হারিয়ে অলিম্পিকে সোনা দেন ব্রাজিলকে। সবথেকে বড় টুর্নামেন্টে মেসিকে নিয়ে ফুটবল রূপকথার শেষ নেই। মারাদোনা পরবর্তী যুগে তাঁর ঝুলি শূন্য তবুও তিনি মেসি। বছর তিরিশের এই শিল্পী ফুটবলার ইঙ্গিত দিয়েছেন এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ফর্মের চূড়োয় থাকা তেত্রিশের রোনাল্ডোর কার্যত শেষ বিশ্বকাপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেসি, রোনাল্ডোর কাছে মস্কো তাই এবার নয় নেভার।