পূর্বতন সচিব মহম্মদ কামরুদ্দিনের পদত্যাগপত্র আগেই গ্রহণ করেছিলেন সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি। মহম্মদ কামরুদ্দিনকে কার্যনির্বাহী সমিতির সাধারণ সদস্য পদে নিয়ে আসা হল। রেড রোড লাগোয়া ক্লাবে সহ-সভাপতি পদে এলেন ইশতিয়াক আহমেদ। ক্লাবের ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন ফুটবল সচিব দীপেন্দুকে সাহায্য করবেন ক্লাবের অধুনা প্রভাবশালী কর্তা বেলাল আহমেদ।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে সচিব ওয়াসিম বলেন,"আই লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় আমাদের প্রথম লক্ষ্য। এই মুহূর্তে ক্লাবে স্পনসর না থাকায় ক্লাব কর্তারা দল গড়তে সাহায্য করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।" অন্যদিকে ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস জানান," কোভিড বিপর্যয় কাটিয়ে মরশুম শুরু হওয়ার আগেই ক্লাবের খোল-নলচে বদলে ফেলার কাজে হাত দেওয়া হবে। বিশেষ গুরুত্ব পাবে মাঠ পরিচর্যা।" ক্লাবে কর্পোরেট সংস্কৃতি আমদানি করার পথে হাঁটতে চান দীপেন্দু।
advertisement
সুলতান আহমেদের মৃত্যুর পর সচিবের দায়িত্বে সামলাচ্ছিলেন কামরুদ্দিন। নতুন প্রজন্মের হাতে ক্লাবের দায়িত্ব তুলে দিতেই পদ ছেড়ে সরে দাঁড়ান সাদা-কালোর কামার ভাই। সুলতান আহমেদের ভাই ইকবাল আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ক্লাব প্রীতি অটুট থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাঠে আসতে পারেন না ইকবাল। সুলতান আহমেদের পুত্র তাহা আহমে আটকে রইলেন রইলেন সহ-সচিব পদেই। সুলতানের অন্য আরেক পুত্র তারিকের জায়গা হল সাদা-কালোর কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সদস্য হিসেবে।
ওয়াসিম, দীপেন্দুদের মত তরুণ প্রজন্মের হাতে পড়ে শতাব্দী প্রাচীন সাদা-কালোয় নতুন গতি আসে কী না, দেখার এখন সেটাই!
PARADIP GHOSH