২০০৭-০৮ সালে ভয়ঙ্কর চোট পেয়ে ফুটবল ছাড়ার পরিস্থিতি হয়েছিল। একটা সময় পুরনো ক্লাব তাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিলেন মেহতাব হোসেন। বাঙালির ফুটবলের শেষ আইকন। কেন আত্মজীবনী? স্ত্রী মৌমিতার কথায়, "যদি ওর জীবন কাহিনীতে একজনও অনুপ্রাণিত হয়, সেখানেই মেহতাবের আত্মজীবনী 'মিডফিল্ড জেনারেল'-এর সার্থকতা। আর মেহতাব নিজে বলছেন কেরিয়ারের নানা মোড়ে এসে অনেক প্রশ্নের সামনে পড়েছি। সব সময় সবটা আমার হাতে ছিল না। তবু খলনায়ক হয়েছি। সমর্থকদের অভিযোগে কাঠগড়ায় উঠেছি। খেলোয়াড় জীবন শেষ করার পরে মনে হল, এগুলো খোলাসা করার সময় এসেছে।"
advertisement
সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো ভাইজান এর আত্মজীবনী 'মিডফিল্ড জেনারেল'-এর। আত্মজীবনীর উদ্বোধনী মঞ্চে মেহতাব মিলিয়ে দিলেন ময়দানের লাল-সবুজ-হলুদ-মেরুনকে। পাশাপাশি বসলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের কর্তা-ফুটবলাররা। উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত আইএফএ-র সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। ছিলেন আলভিটো, ষষ্ঠী, দীপঙ্কর, অর্ণব, দেবব্রতর মত মেহতাবের একসময়ের সতীর্থরা। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার যেমন বলছিলেন, "ভবিষ্যতের মেহতাব গড়ায় মন দিন আজকের মেহতাব।" মোহনবাগানের চাণক্য দেবাশীষ দত্ত বলছিলেন, বাগান-কে টোকেন জমা দিয়ে, অগ্রিম নিয়েও ইস্টবেঙ্গলে কিভাবে সই করলেন সেই আনটোল্ড স্টোরি।
মিডফিল্ড জেনারেলের পাতায় পাতায় ঘুরপাক খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল,মোহনবাগানের ড্রেসিংরুমের গল্প। এক জার্সিতে খেলেও আলভিটোর সঙ্গে টক্করের কাহিনী। কী ভাবে 'গোষ্ঠীবাজ' তকমা লেগে গিয়েছিল মল্লিকপুরের মিডফিল্ডারের সাদামাটা ইমেজে। কেন শেষবেলায় ইস্টবেঙ্গলের বদলে মোহনবাগান থেকে অবসর নিতে হলো ভিকি-কে? ময়দানের মেহতাব-কে চিনতে হলে পড়তে হবে মিডফিল্ড জেনারেল'। কলকাতা বইমেলার ১৯৮ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে ভিকি ভাইজানের আত্মজীবনী 'মিডফিল্ড জেনারেল'।
PARADIP GHOSH