Ghana: 4 ( E. Ayiah (43) E. Ayiah (52) R. Danso (86) E. Toku (87)
#নয়াদিল্লি: ঘানা কেন ‘সুপারপাওয়ার’ আবারও দেখল গোটা বিশ্ব। শেষ ম্যাচে ৪-০ গোলে হার মাতোসের ভারতের। গতি-শক্তি-স্কিল, সবেতেই এদিন টেক্কা দিয়েছেন আফ্রিকান জায়ান্টরা।
শুরুতে চেষ্টা করলেও আফ্রিকান সিংহদের প্রেসিং ফুটবলের কাছে ক্রমশ কোনঠাসা হল মেন ইন ব্লু। গ্রুপের ৩ ম্যাচেই হার। তবে অভিষেকের বিশ্বকাপে অনেক রুপোলি রেখার সন্ধান দিয়ে গেল ভারত। অন্তত বিশ্ব ফুটবলকে বোঝানো গেল- চেষ্টা করলে আমরাও পারি। অন্য ম্যাচে এদিন কলম্বিয়া ৩-১ গোলে হারাল আমেরিকাকে।
advertisement
এবারের মত বিশ্বকাপ থেকে আলবিদা ভারতের। হয়তো ৩ টে ম্যাচেই হারতে হল মাতোসের দলকে। তবে লড়াইটা মনে রাখল দিল্লি। মন খারাপ হলেও হতাশ হতে রাজি নন দেশবাসী ৷
ম্যাচ হারলেও দলের ফুটবলারদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন কোচ মাতোসও ৷ নাম না করেই কনস্ট্যানটাইনের সিনিয়র দলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিন্তু নেপাল, ভুটান বা মলদ্বীপের বিরুদ্ধে খেলিনি। ওদের বিরুদ্ধে জেতা কোনও বড় ব্যাপার নয়। এটা বিশ্বকাপ। বিশ্বের সেরা দেশগুলো খেলে। তা ছাড়াও আমরা কোনও বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলে এখানে আসিনি। যাদের বিরুদ্ধে খেলেছি তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের কোনও টিম কখনও কিন্তু খেলেনি।’’
আর তিন ম্যাচে ৯ গোল হজম করা নিয়ে কোচ বলেন, ‘‘নিউজিল্যান্ড যখন প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিল তখন ১৩ গোল খেয়েছিল। চিলির মতো টিমও সাত গোল খেয়েছে। আমাদের পথ চলা সবে শুরু হয়েছে ৷ ভারতীয় দল নিজেদের দুশো ভাগ দিয়েছে ৷ আফ্রিকান টিমগুলি শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকেও অনেক এগিয়ে আমাদের থেকে ৷ দু-দুটো কঠিন ম্যাচের পর ঘানার বিরুদ্ধে খেলাটাও কঠিন ৷ গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল ঘানাই ৷ সবারই জানা, বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ওরা কতটা শক্তিশালী। ’’
