মেহেফিল, খানাপিনায় রঙ্গিন এক টুকরো ময়দান। ক্লাবের অতিথি, সমাজের গণ্যমান্যদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে পংক্তি ভোজন সারেন সাদা-কালো জনতা। সুস্বাদু হালিম, মশালাদার কোরমা, চটপটা বেবি নান, নমকিন সরবত। কী থাকে না মহমেডানের ইফতার পার্টিতে!
করোনা আতঙ্কের ডামাডোলে, লকডাউনের জেরে এবার সবেতেই বাতিলের বেড়াজাল। মহমেডান স্পোটিং ক্লাব বাতিল করেছে তাদের অন্যতম বার্ষিক অনুষ্ঠান ইফতার পার্টি। মহমেডান সচিব মহম্মদ কামরুদ্দিন বলছিলেন, "ক্লাবের সুদীর্ঘ ইতিহাসে এমনটা প্রথম বার। সদস্য, সমর্থকদের জন্য খারাপ লাগছে। সারা দিনের রোজার পর দেখা-সাক্ষাৎ, একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া, এবার তো কিছুই হবে না।"
advertisement
শুধু ইফতার পার্টি নয় মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলের মত করে ওইদিন 'শান-এ-মহমেডান' (মহমেডান রত্ন) সম্মান তুলে দেওয়া হত ক্লাবের কৃতি প্রাক্তনদের হাতে। মহম্মদ হাবিব, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাব্বির আলি, মানস ভট্টাচার্য। মহমেডানের জার্সিতে মাঠে ফুল ফোটানো ফুটবলারদের অতি আদরের 'শান-এ-মহমেডান' তুলে দেওয়ার রেওয়াজেও এবার বিরতি। ইফতার পার্টি বাতিল হওয়ার সাথেই ছেদ পড়েছে 'শান-এ-মহমেডানে'।জার্সির রং সাদা-কালো হলে কী হবে! বছরের এই দিনটাকে কেন্দ্র করে রঙিন হয়ে উঠত মহমেডান ক্লাব। গমগম করত গোটা ময়দান। রেড রোড লাগোয়া ক্লাব তাঁবু হয়ে উঠত ময়দানের মিলনতীর্থ। এবার যে কিছুই হবে না। করোনা কেড়ে নিয়েছে সবটা। ময়দান আজ সত্যিই বড় ফ্যাকাশে, বেরঙা। প্রকৃত অর্থেই সাদা-কালো।
PARADIP GHOSH