সুনীল ছেত্রীর বিকল্প আপাতত দেখতে পাচ্ছি না।’ কিছুদিন আগে এআইএফএফ এক ভার্চুয়ালের প্রেস কনফারেন্সে এই মন্তব্য করেছিলেন ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ। হতাশার সুর ধরা পড়েছিল তাঁর কণ্ঠে। নিজের পিঠ বাঁচাতে ফুটবলারদের মান নিয়ে মুখ খুলেছেন এই ক্রোট কোচ। কিন্তু তিনিও কী ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন? স্যাফ কাপের প্রথম ম্যাচে ১০ জনের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত ড্র করার পর এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Rohit Sharma on Ishan : ঈশান রানে ফেরায় স্বস্তি রোহিত এবং টিম ইন্ডিয়ার
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কলকাতায় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনওক্রমে ১-১ গোলে খেলা শেষ করেছিল এই স্টিমাচ-ব্রিগেড। তবে শুধুমাত্র ক্রোয়েশিয়ান কোচকে কাঠগড়ায় তুলে লাভ নেই। ভারতীয় দলটি অন্তঃসারশূন্য। পা ঢাকতে গেলে মাথা বেরিয়ে পড়ে। আর মাথা ঢাকতে গেলে পা। দলে সুনীল ছাড়া দ্বিতীয় কোনও ম্যাচ উইনার নেই। মাঝমাঠ ও রক্ষণে ভরসা দেওয়ার মতো ফুটবলার দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে।
ক্রোয়েশিয়ার কোচের যুক্তি, ‘আইএসএল ও আই লিগে বিদেশি ফুটবলারের দাপট না কমালে ভারতীয় স্ট্রাইকার উঠে আসা কঠিন।’ খুব খারাপ বলেননি তিনি। কিন্তু স্টিমাচের পরিকল্পনা এবং স্ট্র্যাটেজিতেও নতুনত্ব নেই। তাই ভারতীয় জাতীয় দলের এই ব্যর্থতার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। বাংলাদেশ ম্যাচের কথাই ধরা যাক। ভারতের প্রথম একাদশে এটিকে মোহন বাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি’র আট ফুটবলারকে রেখেছিলেন স্টিমাচ। কারণ এই দু’দলের ফুটবলাররা সদ্য এএফসি কাপের ম্যাচ খেলে এসেছেন। কিন্তু স্টিমাচের পরিকল্পনা মাঠে মারা গিয়েছে।
তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স গ্রাফ ক্রমশই নীচে নেমেছে। ১৮টি ম্যাচে ৩টি জয়, ৮টি ড্র ও ৭টি’তে হার। সোমবার দশজনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে হারাতে না পারাটা ভারতীয় ফুটবলের বড় লজ্জা। রাহুল ভেকে, প্রীতম কোটালের মতো ডিফেন্ডারের নিজেদের পজিশন বুঝে উঠতেই শেষ বাঁশি বেজে গেল।
ম্যাচের পর অবশ্য ফুটবলারদের দোষারোপ করেছেন স্টিমাচ। তবে তা ভুল শোধরানোর জন্য নয়। দায় এড়িয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। ফারুক চৌধুরী, প্রীতম কোটাল, শুভাশিস, ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজদের পারফরম্যান্স আইএসএলে যতটা হয়, জাতীয় দলের জার্সিতে তার ধারে কাছে হয় না।শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্টের অন্যতম দুর্বল প্রতিপক্ষ। এমন দলের বিরুদ্ধে একাধিক গোলে জেতার উচিত ভারতের। না হলে সেটা সুনীলদের ব্যর্থতা হিসেবে ধরা হবে।