এই পদে বসেছেন ধীরেন দে থেকে টুটু বোস, অঞ্জন মিত্র। কাজটা তাই কঠিনই। হাসি মুখে ধরে সৃঞ্জয়ের জবাব,‘‘ ওদের দেখানো পথেই তো এগিয়ে নিয়ে যাব মোহনবাগানকে। ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশবে আধুনিকতা। আর তাতেই মিলবে সাফল্য।’’নতুন সচিবের গলায় আত্মবিশ্বাস। দায়িত্ব নেওয়ার সময়টা যদিও সহজ নয়। এটিকে-র সঙ্গে মৌ সইয়ের পর সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি আছে, চোরা ক্ষোভ রয়েছে। বাগানের কোটি কোটি সমর্থকদের বিভ্রান্তি কাটিয়ে ফের তাদের ক্লাবমুখো করাটাই তো প্রথম ও প্রধান কাজ। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটা স্বীকারও করে নিচ্ছেন ডাবল টু-র যোগ্য উত্তরসূরি।
advertisement
গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে কম উত্থান-পতনের সাক্ষি থাকেনি বসু পরিবার। স্পনসরহীন পরিস্থিতিতে বছরের পর বছর ক্লাব টেনেছেন বাবা টুটু বোস। আজ সেই ডাবল টু-র হাত থেকেই ব্যাটন নিয়ে বাগানের হটসিটে জেন ওয়াইয়ের প্রতিনিধি সৃঞ্জয়। চলতি মরশুমে আই লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ দৌড়ে রয়েছে ক্লাব। সেখানেও তো দায়িত্ব কম নয়। অর্থসচিব দেবাশিস দত্তকে পাশে বসিয়ে বিদায়ী সভাপতি টুটু বোস বলেছিলেন,‘‘প্রতিশ্রুতি মতো ক্যান্টিন সংস্কার করে দিয়েছি। আইএসএল-কে ক্লাবকে খেলানোর ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। আমার কাজ সেরে নতুন হাতে দায়িত্ব দিয়ে গেলাম।’’সচিবের দায়িত্ব ছেড়ে সভাপতি পদে ফিরলেন টুটু বোস। বিদায়বেলায় পাশে বসা সৃঞ্জয় ও দেবাশিসকে নিয়ে ডাবল টু-র ফটোফ্রেমটাই বলে দিচ্ছিল তাঁর মনের কথাটা। অল ইজ ওয়েল।