ফেডেরিকো রেত্তোরি নামক এক আর্জেন্টাইন ব্যক্তি মেসির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন। যিনি আর্জেন্টাইন হলেও স্পেনেই থাকতেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি মেসির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করতেন। ২০১৯ সালেও একই অভিযোগ করেছিলেন রেত্তোরি। সে বারেও তার অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়। রেত্তোরির অভিযোগ, মেসির সংস্থা যে অর্থ পেত তা সোজাসুজি দান করে দেওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি। সেই অর্থ যেত বিভিন্ন ব্যাঙ্কে এবং ব্যক্তিগত কাজে। যে গুলির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কোনো যোগ নেই।
advertisement
তবে স্পেনের আদালত জানিয়েছে দুই বছর ধরে তদন্ত করেও কোনো অনৈতিক কাজ চোখে পড়েনি। ওই ব্যক্তির অভিযোগ প্রমাণ করার মতো কোনো কিছু খুঁজেও পাওয়া যায়নি। রেত্তোরি যে মেসির সংস্থায় কাজ করতেন তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 'এল বুয়েন ক্যামিনো' নামক এক সংস্থার প্রধান হিসেবে নাম পাওয়া গিয়েছে রেত্তোরির। সেই সংস্থা পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিয়োনে নামক একটি দেশের শিশুদের সাহায্য করার জন্য মোটা অংকের অর্থ পেয়েছিল। যদিও ইবোলা ভাইরাসের মহামারীতে তা বন্ধ হয়ে যায়।
মেসির নামে এমন অভিযোগ করা সেই ব্যক্তি আসলে কোন উদ্দেশ্য থেকে এমন কাজ করেছেন সেটা দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অতীতে স্পেনে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। শেষ পর্যন্ত আদালত মুক্তি দেয় তাঁকে। কিন্তু এবারের ঘটনা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে। যাই হোক, এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। অর্থ কম করে দিয়ে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বার্সেলোনাতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরের বছর কাতার বিশ্বকাপ দেশের হয়ে শেষ বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হতে চলেছে মেসির।