সুইডেন -০
#সেভিল: এই নিয়ে টানা ১২ বার। বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাবে স্পেনকে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের সেই তারকায় ভর্তি দল আর নেই। কিন্তু ইউরো কাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে স্পেন প্রমাণ করেছিল নতুন প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে তাদের।
গত ইউরোতেও ফর্মহীনতার কারণে স্পেন সমর্থকদের বিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছিল আলভারো মোরাতাকে। অথচ সেই মোরাতার হাত ধরেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল স্পেন। মোরাতার একমাত্র গোল গত রাতে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের সুইডেনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে স্পেন।
advertisement
জয়টাই নিশ্চিত করেছে স্পেনের সরাসরি বিশ্বকাপ–যাত্রা। ওদিকে স্পেনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কম নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়েছে সুইডেন, ফলে বিশ্বকাপে উঠতে হলে প্লে-অফের গেরো কাটাতে হবে তাঁদের। সেভিলের এস্তাদিও লা কার্তুহা মাঠে খেলতে নেমেছিল দুই দল। মূল একাদশে যদিও মোরাতা ছিলেন না, গ্রিসের বিপক্ষে গত ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও মূল স্ট্রাইকার হিসেবে কোচ লুইস এনরিকে ভরসা রেখেছিলেন এসপানিওলের ফর্মে থাকা স্ট্রাইকার রাউল দে তমাসকে।
দে তমাসের সঙ্গে আক্রমণভাগে ছিলেন লাইপজিগের দানি অলমো ও বেতিসের পাবলো সারাবিয়া। এই আক্রমণভাগ গোল এনে দিতে পারছে না দেখেই ৫৯ মিনিটে সারাবিয়ার জায়গায় মাঠে নামান হয় মোরাতাকে। মোরাতা যেভাবে গোল পেয়েছেন, সে কারণে চাইলে অলমোকে একটা বড় করে ধন্যবাদ তিনি দিতেই পারেন। কোনোভাবেই যখন গোলমুখ খুলতে পারছিল না স্পেন, তখনই মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে দৌড়ে এসে একটু ভেতরে ঢুকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শট মারেন অলমো। সে শট লাগে সুইডেনের গোলবারে। লেগেই বল চলে যায় সামনে থাকা মোরাতার কাছে।
মাথা ঠান্ডা রেখে ৮৬ মিনিটে বাকি কাজটা ঠিকঠাক সেরে ফেলেন জুভেন্টাসের এই স্ট্রাইকার। স্পেনের মানুষ তাঁকে যতই অপছন্দ করুক না কেন, মোরাতা আবারও বুঝিয়েছেন, তিনি গোল মিসও যেমন করতে পারেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করার অভ্যাসটাও তাঁর মজ্জাগত। স্পেনের হয়ে তাঁর শেষ তিনটে গোলের কথাই চিন্তা করুন।
গতকাল ৮৬ মিনিটে গোল করে দলকে জয় তো এনে দিলেনই, এর আগে ইউরোতে ইতালির বিপক্ষে ৮০ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় এনেছিলেন। এর আগে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে (১০০ মিনিট) গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। গাভি, সলের, মেরিনোদের মত তরুণ তারকারা স্পেনের সম্পদ জানিয়েছেন কোচ এনরিকে।