কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দল হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে লড়াই করেছে ছেলেরা তাতে খুশি লুইস এনরিকে। তিনি বার্তা দিতে চেয়েছেন টুর্নামেন্ট হারাতে হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভবিষ্যতের একটা দলকে পেয়ে গিয়েছেন। এই দলই ফিরিয়ে আনতে পারে স্প্যানিশ ফুটবলের সোনালী সময়। সারা ম্যাচে দাপট নিয়ে খেলেও পেনাল্টি শুট-আউটে হেরে যেতে হয়েছে ইটালির কাছে। তা সত্ত্বেও কোনও দুঃখ নেই কোচ লুইস এনরিকের। ফুটবলারদের খেলায় তিনি খুশি।
advertisement
নির্ধারিত সময়ে স্পেনের হয়ে সমতা ফিরিয়েছিলেন আলভারো মোরাতা। এ ছাড়া গোটা ম্যাচে ভাল খেলেন দানি ওলমো। কিন্তু দু’জনেই টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে এনরিকে ম্যাচের পর বললেন, “আমি মোটেই দুঃখ পাইনি। হ্যাঁ, হতাশ হয়েছি ঠিকই। কিন্তু এটাই সর্বোচ্চ মানের ফুটবল। এখানে হার-জিত দুটোই রয়েছে। খেলোয়াড়দের অনেক শুভেচ্ছা। ওদের প্রতি কোনও অভিযোগ নেই আমার।”
এনরিকের সংযোজন, “আমরা দল হিসেবে লড়ে সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছি। এই ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে আবার একসঙ্গে মিলিত হব আমরা। তখন নতুন স্পেনকে দেখা যাবে।” স্পেনের হয়ে মঙ্গলবার ৯৯ শতাংশ নিখুঁত পাস করেছেন পেদ্রি। তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এনরিকে। বলেছেন, “১৮ বছরের কোনও ফুটবলার এর আগে এই কাজ করে দেখায়নি। ওর ছন্দ, নিজের ভূমিকা পালন করা, ফাঁকা জায়গা খুঁজে নেওয়া, চারিত্রিক গঠন — সবদিক থেকে বাকিদের থেকে অনেক এগিয়ে। এই জিনিস আর কারওর মধ্যে আমি দেখিনি।”
স্প্যানিশ ম্যানেজার মনে করেন টাইব্রেকার ভাগ্যের ব্যাপার। বড় বড় ফুটবলাররা মিস করেছেন। তাই কোনও এক বা দুজনকে দোষ দিতে চান না। জিতলে যেমন দল হিসেবে জয়, তেমনই হারলেও দল হিসেবে হার। এই প্রথায় বিশ্বাস করেন। তবে যাই বলুন স্প্যানিশ ম্যানেজার, এই স্পেন দলটাকে ভবিষ্যতে সফল হতে গেলে অন্তত দুজন ভাল মানের স্ট্রাইকার লাগবে।
অতীতে ফার্নান্দো তোরেস এবং ডেভিড ভিয়ার মত স্ট্রাইকার থাকায় গোল পেতে সমস্যা হত না স্পেনের। সেই তুলনায় আলভারো মোরাতা, জেরার্ড মোরেনো অতীতের স্প্যানিশ স্ট্রাইকারদের মানের নয়। তাই ভাল বক্স স্ট্রাইকার লাগবেই লাগবে।