অত্যন্ত শক্তিশালী এবং চতুর স্ট্রাইকার বলেই পরিচিত এই চিমা। আফ্রিকান ফুটবলাররা বরাবর ভারতীয় ফুটবলে সফল। তাই এই বিদেশি ভারতে সফল হবেন আশা করা যায়। গত তিন বছরে অবশ্য টানা কোনও ক্লাবে স্থায়ী হতে পারেননি। তবুও তার কোয়ালিটি নিয়ে সন্দেহ নেই। মাথার চেয়ে দুটো পা বেশি সচল। বক্সের মধ্যে নিখুঁত বল কন্ট্রোল এবং ফিনিশ করতে দক্ষ।
advertisement
শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলে সই করতে পেরে খুশি চিমা। তিনি বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক এই ক্লাবে সই করতে পেরে ভাল লাগছে। আমি দলকে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জেতানোর চেষ্টা করব।’’ চিমা জানিয়েছেন ভারতে খেলা তার কাছে নতুন পরীক্ষা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। তাই তাঁর মনে হয়েছে লাল-হলুদে যোগ দেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত। নতুন স্প্যানিশ কোচ ম্যানুয়েল ডিয়াজ যে পদ্ধতিতে খেলাবেন, সেই পদ্ধতি তিনি রপ্ত করতে পারবেন নিশ্চিত।
জানেন ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে চাপানো মানে অতিরিক্ত চাপ বহন করা। কিন্তু চিমা আশাবাদী, মুখে নয়, মাঠেই তিনি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। হাতে যেটুকু সময় আছে তা যথাসম্ভব কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে এস সি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। আসন্ন আইএসএল শুরু ১৯ নভেম্বর থেকে। তার আগে যথেষ্ট সময় আছে হাতে। গতবার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে দল গড়ার দায়িত্বে থাকা রিক্রুটররা। যদিও শুধু পাঁচ মাসের জন্য দায়িত্ব নিয়েছে ইনভেস্টর সংস্থা, তাও নিজেদের সুনাম রক্ষা করতে যতটা সম্ভব শক্তিশালী দল গড়ার কাজ চালানো হচ্ছে। এমন ফুটবলার নেওয়া হচ্ছে যারা ফিট এবং কম বয়সী।
চব্বিশ ঘণ্টা আগেই অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার টমিস্লাভ মর্সেলা যোগ দিয়েছেন লাল-হলুদে। বুধবার সই করলেন ফ্র্যানিয়ো পর্চে। ২৫ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডার ক্রোয়েশিয়ার যুব দলে খেলেছেন। ঠান্ডা মাথার ডিফেন্ডার বলে পরিচিত। দল গড়ার ধরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ডিফেন্স শক্ত রেখে খেলার চেষ্টা করবে ইস্টবেঙ্গল।