জঘন্য রেফারিং নিয়ে ফেডারেশন এবং এফএসডিএলের দ্বারস্থ হয়েছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। কোচ আগেই জানিয়েছিলেন প্রতি ম্যাচেই ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হতে হচ্ছে দলকে। শেষ চার ম্যাচ হারেনি দল। একমাত্র জয় এসেছে ওড়িশার বিপক্ষে। গোয়ার বিরুদ্ধে ডিফেন্সের ছোট্ট ভুলের জন্য পুরো পয়েন্ট পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নাইজেরীয় ফুটবলার ব্রাইট। প্রথম দুটো ম্যাচ খেলেই দুটোতেই গোল পেয়েছেন। গোয়ার বিরুদ্ধে করা গোলটা এবারের টুর্নামেন্টের সেরা। সবচেয়ে বড় কথা ব্রাইট সারা মাঠ জুড়ে পরিশ্রম করছেন। প্রয়োজনে নীচে নেমে দলকে সাহায্য করছেন। তাঁকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনছেন সর্মথকরা। ব্রাইট, মাগোমা এবং পিলকিংটন,এই তিনজন একসঙ্গে খেললে যে কোনও ডিফেন্সের ওপর চাপ তৈরি করা সম্ভব। আগের দিন রবি পিলকিংটনকে খেলাননি। হ্যামস্ট্রিংয়ে ব্যথা রয়েছে ফুটবলারটির।
advertisement
এদিকে হারের হ্যাটট্রিক করে বসে আছে বেঙ্গালুরু। কোচ কার্লোসকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাময়িক দায়িত্ব নিয়েছেন নওশাদ মুসা। আইএসএলের ইতিহাসের শেষ কবে পরপর তিন ম্যাচ হেরেছে বেঙ্গালুরু মনে করা কঠিন। সুনীল ছাড়াও উদান্ত, রাহুল ভেকে, সুরেশ, প্রতীকদের মত ভারতীয় ফুটবলার রয়েছে দলটায়। হুয়ানান, দেলগাদো, অফসেট, পর্তালুদের মত বিদেশি রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। গোলের নীচে দেশের সেরা গোলরক্ষক গুরুপ্রীত। তাই এমন একটা দলকে হালকা করে দেখার জায়গা নেই লাল হলুদের। কিন্তু দেবজিৎ ভরসা দিচ্ছেন গোলের তলায়। রফিক থেকে বিকাশ, নারায়ন থেকে অঙ্কিত,স্কট থেকে মাগোমা,ভরসা দিচ্ছেন লাল হলুদকে। দলটার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বরাবর ছিল। অভাব ছিল ফিটনেস এবং ফিনিশিংয়ের। দুটো ক্ষেত্রেই দেখে মনে হচ্ছে আর পেছনে ফিরে তাকানোর দরকার নেই। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। কারণ হাজার ওয়াটের ভরসা নিয়ে এসে গিয়েছেন ব্রাইট।
Rohan Roy Chowdhary