তবে শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বেলজিয়ামের ডিফেন্ডার আল্ডারভাইরেল্ড বললেন, পর্তুগাল শুধু একজনের ওপর নির্ভর করে না। “অবশ্যই সবাই ক্রিশ্চিয়ানোর কথাই বলে, সে বিশ্বের সেরাদের একজন। তবে পর্তুগাল মানেই শুধু তিনি নন, তাঁকে ঘিরে আরও অনেক মানসম্পন্ন ফুটবলার আছেন, যারা তাকে সুযোগ তৈরি করে দেয়। তাদেরকে হারানো খুবই কঠিন। দারুণ এক দল, খুব আঁসাঁট ফুটবল খেলে এবং তারা জানে, বড় টুর্নামেন্টে বড় ম্যাচে কিভাবে খেলতে হয়। অভিজ্ঞতাও প্রচুর তাদের। আমার তাই মনে হয়, ওদেরকে হারাতে হলে নিজেদের খেলার চূড়ায় থাকতে হবে আমাদের।”
advertisement
এমন একটি দলের সঙ্গে কোয়ার্টার-ফাইনালের আগেই দেখা হওয়ায় খানিকটা দুর্ভাবনা পেয়ে বসা অস্বাভাবিক নয়। তবে আল্ডারভাইরেল্ডের মতে, এরকম টুর্নামেন্টে সহজ-কঠিন প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই। “ আমার মনে হয় না, প্রতিপক্ষ নিয়ে সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির কোনো ব্যাপার এসব জায়গায় আছে। ধরুন, পর্তুগাল না হয়ে আমাদের সঙ্গে যদি হাঙ্গেরির খেলা হতো এবং সবাই তখন ভাবতে শুরু করত, ‘এই ম্যাচ সহজ হতে যাচ্ছে’, মানসিকতা এরকম থাকলে এই ধরণের ম্যাচের জন্য উজ্জীবিত হওয়া কঠিন। আমরা শীর্ষ একটি দলের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি এবং এটাই আমাদেরকে বাধ্য করবে সেরাটা দিতে।”
বার্নাড সিলভা থেকে শুরু করে রেনাতো সঞ্চেজ, জোতা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ সহ বেশ কিছু কোয়ালিটি ফুটবলার আছে পর্তুগাল দলে। কিন্তু বাকিরা নিজেদের সেরা ফর্মে এখনও নিয়ে যেতে পারেননি। বেলজিয়াম দলে লুকাকু, ডি ব্রুইন, ইডেন হ্যাজার্ড এবং আরও বেশ কয়েকজন ভাল ফুটবলার রয়েছে। তাই এই লড়াইটাও হবে দেখার মত। তিনি রাইট ব্যাক পজিশনে খেলেন। উল্টোদিকে থাকবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তাঁর ওপরেই দায়িত্ব পর্তুগিজ মহাতারকাকে আটকানোর। কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব মনে করেন না টবি।