#গুয়াহাটি: ‘গো ফর গোল’। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপের সময় রিকি মার্টিনের গলায় ফিফার থিম সং ছিল এটাই। আজ অনেক বছর কেটে গিয়েছে। এফ সি গোয়া কোচ লবেরার কথায় ধরা পড়েছে যে তিনি একদম ফিফার পথ প্রদর্শক। পড়ে আছেন যেন বিশ বছর পিছনে। অত মেপে ফুটবল তাঁর পছন্দ নয়। কিন্তু বর্তমানের ফুটবল যে বড্ড হিসেবি। বিশ্বের তাবড় সব কোচেরাও খুল্লামখুল্লা খেলা থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখেন। পা ফেলেন বড্ড মেপে। বলেন এক, করে বসেন আরেক। ম্যাচ শুরু হবার আগে এমন ভাবনাটা মাথায় ছিলই। লবেরাও এমন করবেন না তো! বললেন আক্রমণাত্মক খেলবেন। আর মাঠে দেখালেন অন্য রুপ।
advertisement
আসলে গতবছর নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে তেমন ভাল কিছু করে দেখাতে পারেনি গোয়া। তাই কি এবার একটু মেপে এগোবার ছক কষবেন লবেরা ? অঙ্কটা ঘুরপাক খাচ্ছিল মাথায়। আর সেই ভাবনাকে আরও উস্কে দিয়েছিল খেলার শুরুতেই নর্থ-ইস্টের গোল। গালেওর সেই গোলের পিছনে ছিল বড়ই পেশাদারি মনোভাব। ঘরের মাঠে খেলার শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার অর্থ ম্যাচের অনেকটা দখল অনেকটা পাহাড়ি শহরের দখলে চলে যাওয়া।
কিন্তু বিপক্ষ কোচের দর্শনে যখন আক্রমণের সূত্র সেটে থাকে, তখন বিষয়টা আরও আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে। আর ঠিক তেমনই হল। ইন্দিরাগান্ধি স্টেডিয়ামকে চুপ করিয়ে দিয়ে গেলেন কোরোমিনাস। একবার নয়। দু-দুবার। কিন্তু ঘরের মাঠে কি চুপ করে থাকবে নর্থ-ইস্ট ? তাই দ্বিতীয়ার্ধটা বড়ই চমকের আশা ছিলই। এবং দেখাও গেল তাই। ওগবেচের মাথা ছুঁইয়ে ৫২ মিনিটে সমতা ফেরালেন। ফলাফল তখন ২-২।
সেখান থেকেই খেলা যেন আবার শুরু হল নতুন করে। এবং দু’দলের কোচেরাই তাই বেশ কিছু পরিবর্তনও করেছিলেন। দু’দলই আংশিক আক্রমণ করলেও ফলপ্রসূ তেমন কিছু হয়নি।
এরই মধ্যে ৮৯ মিনিটে নর্থ-ইস্ট গোলরক্ষক রেহেনেশ একটি হেড বাঁচান। ম্যাচে অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হয়। কিন্তু ম্যাচের শুরু এবং শেষের মধ্যে বেশ পার্থক্য ছিল। প্রথমটা আক্রমণাত্মক হলেও শেষ যেন অনেক সর্তক। সেকারণেই সমুদ্র - পাহাড় দুই শহরই হয়ে রইল শান্ত।
তবে হিরো অফ দ্য ম্যাচ গেল আরব সাগরের তীরেই। নিয়ে গেলেন গত আই এস এলের সোনার বুটের মালিক কোরোমিনাস।