চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হলেও লকডাউনের কারণে এখনই ভারত সেরার ট্রফি ঢুকছে না গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে। করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রফি তুলে দেওয়া হবে বিজয়ী দলের হাতে। মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস বলছিলেন,"আমরা নিশ্চিত ছিলাম আমাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। এটা আমাদের ন্যায্য পাওনা ছিল। আমরা খুশি। তবে পাশের ক্লাবের অখেলোয়াড়চিত আচরণটা এখনো মেনে নিতে পারছি না।"
advertisement
"আমাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সর্বত্র। ওরা চ্যাম্পিয়ন হলেও আমরা যে খুশি হই, তেমনটা নয়। কিন্তু অখেলোয়াড়চিত আচরণ করি না। এবার ওরা যেটা করেছে সেটা নজিরবিহীন নোংরামি।"
চ্যাম্পিয়ন হলেও লকডাউনের কারনে সেলিব্রেশন প্ল্যান তোলা থাকছে সবুজ মেরুনে। বাগানের অর্থসচিব দেবাশিষ দত্ত বলছিলেন,"ফুটবলাররা ঘরবন্দি। বেইতিয়া, বাবা দিওয়ারারা নিজেদের দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিশেষ বিমানে তাদের ফেরানোর জন্য চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি থিতু হলে দেশে ফিরে যাবেন কিবু ভিকুনারা।"
ফেডারেশনের এগজিকিউটিভ কমিটির সিদ্ধান্তে বিস্মিত নয় লাল-হলুদ। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন,"ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে আমাদের কী করার থাকতে পারে! তবে স্টেটাসকো মেনটেন করতেই পারত এআইএফএফ। চলতি লিগে সর্বশেষ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় স্থানে ছিলাম আমরা। আমাদের সেই স্বীকৃতি না দিলে কীই বা বলার আছে!" লাল-হলুদ শীর্ষকর্তার সংযোজন,"আমরা মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার বিরুদ্ধে ছিলাম না। আমরা আমাদের দাবিটা জানিয়েছিলাম মাত্র। কেউ যদি সেটার অন্য মানে করে, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।"
করোনার তাণ্ডবে অসমাপ্ত আই লিগ। খেতাব নির্ধারিত। মরশুম শেষ অসময়ে। কিন্তু শেষ নয় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের কথার লড়াই। এ লড়াই চলছে, চলবেও।
PARADIP GHOSH