আগামী সপ্তাহেই ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক। সেখানেই অসমাপ্ত আই লিগে মোহনবাগানের ভারত সেরার স্বীকৃতিতে সিলমোহর পড়বে। শনিবারে লিগ কমিটির ম্যারাথন বৈঠক বিশ্বব্যাপী করোনা বিপর্যয়ের কথা পর্যালোচনা করে ২০১৯-২০ মরশুমের আই লিগ অসমাপ্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৬ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগের বাকি দলগুলোর ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল মোহনবাগান। পুরো লিগ খেলা হলেও ইস্টবেঙ্গল, গোকুলাম, রিয়াল কাশ্মীরের মত দলগুলোর মোহনবাগানকে ছোঁয়ার সাধ্য ছিল না।
advertisement
এএফসি আগেই আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিল মোহনবাগানকে। এআইএফএফ-র পক্ষে তাই অন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া একরকম অসম্ভবই ছিল। ইস্টবেঙ্গল রানার্স হওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দিলেও সেই নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেননি কুশল দাস, সুব্রত দত্ত, সুনন্দ ধররা।
লিগ কমিটির সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই লকডাউন এর মাঝেও সবুজ-মেরুনে নেমে আসে স্বস্তি ও খুশির রোশনাই। বাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস ও অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত জানান,"আমরা ফেডারেশনের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি। আই লিগের আটটি ক্লাবকে স্পোর্টস স্পিরিট দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।" কিন্তু প্রশ্ন হলো আটটি ক্লাব কেন? বাগান সচিব সৃঞ্জয় বোসের ঠোঁটকাটা জবাব,"কলকাতার একটি ক্লাবের মানসিকতায় স্পোর্টিং স্পিরিটের ছিটেফোঁটা ছিল না।"
অন্যদিকে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে কার্যত হতাশ লাল-হলুদ সর্মথকরা। তাদের শতবর্ষে ভারতসেরা মোহনবাগান। তার ওপর ফেডারেশন খারিজ করে দিয়েছে তাদের রানার্স ঘোষণার দাবি। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের বক্তব্য,"ফেডারেশনের স্বেচ্ছাচারী শাসনতন্ত্রে এর থেকে বেশি কীই বা আশা করা যায়! আমরা হতাশ!" হতাশ লাল-হলুদ জনতাও। উচ্ছ্বাসে ভাসছে সবুজ-মেরুন।
PARADIP GHOSH