দিয়েগো মারাদোনার জন্মসাল ১৯৬০ থেকে তাঁরা বছর গণনা করেন। এ ছাড়া ‘ডি১০এস’ নামে একটি প্রতীকও তাঁরা ব্যবহার করেন। স্প্যানিশ ভাষায় ‘দিওস’ নামের অর্থ হলো ‘ঈশ্বর’। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে নিয়ে এবার মেক্সিকোতেও একটি গির্জার নামকরণ করা হল। ইতালির নাপলিতেও আছে তার নামে গির্জা। এটি দেশটির প্রথম ‘ম্যারাডোনিয়ান চার্চ’।
গির্জার সামনে দুটো ফুলদানির ওপর ফুটবল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ফটক দিয়ে ঢোকার পথে ডান পাশে আর্জেন্টিনার জার্সি পরা মারাদোনার হাস্যোজ্জ্বল মুখের ছবি এবং মাথায় ঐতিহ্যবাহী মেক্সিকান টুপি। ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জেতানো কিংবদন্তি গত বছরের ২৫ নভেম্বর দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান।
advertisement
গির্জার ভেতর পুরোটাই তাঁর জীবন নির্ভর। ধর্মীয় ক্রসও মারাদোনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বানানো হয়েছে। রয়েছে তাঁর শৈশবের ছবি এবং কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ও পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে দিয়েগোর সাক্ষাতের মুহূর্তের ছবি। মেক্সিকোর পুয়েবলা শহরে অবস্থিত এ গির্জা ৭ জুলাই খুলে দেওয়া হয়। রোজারিওতে ২৩ বছর আগে ‘ইগলেসিয়া ম্যারাডোনিয়ানা’ নামে যে ধর্মের উদ্ভব ঘটানো হয়, সেটাই পালিত হয় এই গির্জায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, মারাদোনার নামে এ ধর্ম বিশ্বের আরও বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনুসারীর সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। মেক্সিকোর মাটিতেই বিখ্যাত আজটেক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্বসেরা করেছিলেন দিয়েগো। দেশটিতে গুন্ডারাজ রয়েছে, খুন এবং ড্রাগ মাফিয়া নিয়মিত সমস্যা। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই যেন ওই একটা মানুষের ভক্ত। মারাদোনা নামটা তাঁদের হৃদয়ে গাঁথা। যাকে মোছা সম্ভব নয়।