ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক গোলরক্ষক অ্যামিলিয়ানো মার্টিনেজ। তবে টাইব্রেকারের আগে নায়ক ছিলেন মেসিই। দুর্দান্ত ড্রিবলিং, ডিফেন্স ছেড়া পাসে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন কলম্বিয়াকে। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে যে গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সেটির অ্যাসিস্ট করেছিলেন মেসি। বর্তমান সময়ের সেরা এই তারকাকে রুখতে তাই কুৎসিত পথ বেছে নেয় কলম্বিয়ার খেলোয়াড়েরা। একের পর এক ফাউল করা হয় মেসিকে। কলম্বিয়ানদের ট্যাকেলে রক্তাক্ত হয়েছেন মেসি। আহত হলেও মাঠ ছাড়েননি, খেলে গিয়েছেন শেষ পর্যন্ত। মেসি টাইব্রেকারেও গোল করেছেন।
advertisement
তবে ম্যাচে পাওয়া আঘাতের মাত্রা কতটুকু তা এখনো জানা যায়নি। ম্যাচ চলাকালীন দেখা যায় তার মোজা ভিজে গেছে লাল রক্তে। মুখে পরিষ্কার যন্ত্রণার চাপ। কিন্তু চোখ বন্ধ করে যেন নিজেকে নিজে সামলানোর চেষ্টা করলেন। দেশের জার্সি গায়ে একটা ট্রফি জেতার যে আকাঙ্ক্ষা, তার কাছে এই রক্ত কিছুই নয়। অনেক ব্যথা সহ্য করতে রাজি আছেন। ক্লাবের হয়ে জেতা একাধিক ট্রফি ছেড়ে দিতে রাজি আছেন। বিনিময় চান আর্জেন্টিনার জার্সিতে একটা ট্রফি। তার জন্য জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত।
তাই ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামতে পারেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর্জেন্টিনা মেডিকেল টিম অবশ্য দলের সেরা ফুটবলার এবং অধিনায়ককে সুস্থ করে তোলার কাজে লেগে পরেছে ইতিমধ্যেই। বুটের স্পাইকের আঘাতে তৈরি হয়েছে ক্ষত। পা ফেলতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনা ভাবা সম্ভব নয়।
হাতে তিন দিন সময়। এর মধ্যে তাঁকে যে ফিট হয়ে উঠতেই হবে। ব্রাজিলের নেইমার ইতিমধ্যেই ফাইনালে মেসিকে পেতে চান বলে খোলা হুমকি দিয়ে রেখেছেন। প্রাক্তন ক্লাব সতীর্থ কী বলেছেন মেসির কানে পৌঁছেছে। দুই বছর আগে এই ব্রাজিলের কাছে হেরে কোপা আমেরিকা স্বপ্ন শেষ হয়েছিল আর্জেন্টিনার। তাই পুরনো হিসেব মেটানো বাকি আছে আর্জেন্টাইন মহাতারকার।