#কলকাতা: কালু উচে নেই। এটিকে-র আপফ্রন্টে শনিবার যাবতীয় দায়িত্ব ছিল বলবন্ত সিং-এর ওপরেই। তবে তিনি ছিলেন নিস্প্রভ। কোমল থাটাল প্রথমদিকে নড়াচড়া করছিলেন। বলার মত ঘটনা একটাই, তা হল বক্সের ঠিক বাইরে এদিন ম্যাচে চারটি ফ্রিকিক পায় এটিকে। তাতে অবশ্য গোল আসেনি। বেশির ভাগই যায় ‘অফ টার্গেট’।
মূল অস্ত্র লাংজার নেওয়া একটি ফ্রিকিক অবশ্য পোস্টে লাগে। ব্যস! এতটাই ছিল আলফারো, মার্সেলিনোহীন পুণের বিরুদ্ধে কপেল বাহিনীর প্রথমার্ধের কর্মকাণ্ড। ঘরের মাঠেও কপেলের রক্ষণনীতি কি এই ঝাঁঝহীন ফুটবলের জন্য দায়ী ? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।
advertisement
গোটা ম্যাচে এদিন তেমন গোলের সুযোগই তৈরি করতে পারেনি এটিকে । প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পরে যেটা ভাবা হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে ফর্মেশনে হয়তো কিছু বদল আনবেন কপেল। কিন্তু কোথায় কি ! দ্বিতীয়ার্ধেও যে একইরকম ফুটবল। যেন প্রথমার্ধের কার্বন কপি। পেনিট্রেটিভ জোনে শট নিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন কপেলের ছেলেরা।
তবে এটিকে কোচ এদিন যে কাজটা সব থেকে পজিটিভ করলেন তা হল বলবন্ত, আইবরকে তুলে হিতেশ আর জয়েশ রানে-কে বদল করেন। এটিকে যেন তখনই কিছুটা আক্রমণাত্মক হতে সাহস দেখায়। লাংজার, রানের সঙ্গে বক্সে উঠে আসেন গারসন ভিয়েরা। আর এই ত্রিমুখী আক্রমণের ফলস্বরূপ এটিকে গোল করতে সফল। ভিয়েরার মাথা ছোঁয়ানো বল ধরতে পারেননি কমলজিত।
নির্বিষ পুণের বিরুদ্ধে গোল করতেও এটিকের সময় লাগল ৮১ মিনিট। দু’দলের পরিসংখ্যানেও ছিল না তেমন কোনও পার্থক্য। দু’দলই এদিন গোলে চারটি করে শট মারে। বল পজেশনের ক্ষেত্রেও এটিকের সঙ্গে পুণের পার্থক্য খুব বেশি ছিল না। পয়েন্টের বিচারে হয়তো লিগ টেবলে জায়গা বদলালো এটিকের। আপাতত ৬ নম্বরে রয়েছে তারা ৷ তবে তাদের খেলা এদিনও মন ভরাতে ব্যর্থ কলকাতার সমর্থকদের ৷