আধুনিক ক্যাফেটেরিয়ার গোলটেবিলে বসে বাগান দিবসের সাংবাদিক সম্মেলন। আপাত দৃষ্টিতে দেখতে শান্তি ও সৌভাতৃত্বের সহাবস্থান। কে বলবে, একটু আগেই বন্ধ তাঁবুর ভেতরে মোহনবাগান রত্ন ইস্যুতে একরকম তোলপাড় হয়েছে। সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাগান রত্ন দিতে সবুজ মেরুনের ফাদার ফিগার টুটু বসুকে ঢাল করতে হয়েছে শাসকগোষ্ঠীর একাংশকে। ফুটবল সচিব বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসূনের নামে জোরালো আপত্তি তোলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের সঙ্গে গলা মেলান মন্ত্রী অরূপ রায়। অবস্থা বেগতিক দেখে মিনিটসে নাম উল্লেখ করার জুজু দেখান কমিটির প্রভাবশালী অংশ। শেষমেষ সচিব টুটু বোস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কথা দিয়েছেন বলে ক্ষান্ত করা হয় অরূপ রায়, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়দের। কমিটির জেহাদি সুর ঠেকাতে বৈঠকে আশ্বাস দেওয়া হয়, পরের বছর মরণোত্তর বাগান রত্ন দেওয়া হবে শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
advertisement
বিরোধীদের ক্ষান্ত করতে প্রসূনের সঙ্গে শেষমেষ জোড়া বাগানরত্নের সিদ্ধান্তে নাম জুড়ে যায় সোনাজয়ী অলিম্পিয়ান হকি কিংবদন্তি কেশব দত্তের নাম। সঙ্গে জীবন কৃতি সম্মান অশোক চট্টোপাধ্যায়কে। সাম্মানিক সদস্যপদ দেওয়া হবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী, ভেস পেজ ও দেবশঙ্কর হালদারকে। এখানেও প্রশ্ন। প্রাক নির্বাচন ফেজে এরা সকলেই ব্যাট ধরেছিলেন আজকের শাসকগোষ্ঠীর হয়ে। তবে এখানেও সেই গোষ্ঠী রাজনীতির সমীকরণ ?
বৈঠক শেষে ক্লাব লনে বাগানের প্রভাবশালী গোষ্ঠীর এক অনুগামীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন ফুটবল সচিব বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাঙ্গোপাঙ্গোরা। সত্যিই, তাহলে ঘূণ ধরে গিয়েছে বাগানে। অন্যের ঘর ভাঙতে গেলে এভাবেই অশান্তির কালো মেঘে ঢাকা পড়তে হয় ? উত্তরটা বাগানের দত্তবাবুই দিতে পারেন।