সেই আঘাত ভুলতে ইতালি ফুটবল দল দায়িত্ব নিয়েছে ইউরো কাপ জেতার। ফুটবলার থেকে সাপোর্ট স্টাফ প্রত্যেকেই যেন মাঠে মৃত্যু বরণ করতে প্রস্তুত। আর আসল রিমোট ম্যানেজার রবার্তো মানচিনির হাতে। সাদা শার্ট, বুদ্ধিমান দুটো চোখ, টানটান চেহারা আর ভাবলেশহীন শরীরী ভাষায় তিনি যেন এই মুহূর্তে গোটা দেশের 'নতুন গডফাদার'। বেঁচে থাকার নতুন অক্সিজেন। ফাইনালে উঠলেও অবশ্য বড় পরীক্ষায় পড়তে হয়েছিল ইতালিকে। অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটতে থাকা দলটিকে এই ম্যাচে অনেকটা সময় কোণঠাসা করে রাখে তারুণ্য নির্ভর স্পেন।
advertisement
স্পেন পরে গোল ফিরিয়ে দিলেও পরে শেষ রক্ষা হয়নি। সেই হার না মানা মানসিকতা দেখিয়ে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে ইতালি। ম্যাচ শেষে মানচিনি বললেন, কঠিন চ্যালেঞ্জের প্রস্তুতি নিয়েই তারা মাঠে নেমেছিলেন। “কিছু ম্যাচ আসেই, যেখানে ভুগতে হয়। সবসময়ই মসৃণ গতিতে এগিয়ে যাওয়া যায় না। আমরা জানতাম, ম্যাচটি কঠিন হবে। কারণ বল ধরে রাখার ক্ষেত্রে স্পেন সময়ের সেরা। তারা আমাদের ভুগিয়েছে। তবে আমরা লড়াই করে গেছি, যখন সুযোগ তৈরি করা ও গোল করার প্রয়োজন ছিল, তাও আমরা করেছি।”
“বল পাচ্ছিলাম না বলে কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা, তাই শেষ পর্যন্ত লড়েছি আমরা। পেনাল্টি তো লটারি। তবে স্পেনকেও টুপিখোলা অভিনন্দন জানাই, ওরা দুর্দান্ত দল।” কঠিন লড়াইয়ে এই জয় এসেছে বলেই কৃতিত্ব বেশি প্রাপ্য বলে মনে করেন ইতালি কোচ। "আমরা জানতাম, ম্যাচটি কঠিন হবে। এজন্যই সব ফুটবলার ও গত তিন বছরে আমাদের সঙ্গে যারা কাজ করেছে, সবার কৃতিত্ব প্রাপ্য। কারণ কাজটি সহজ ছিল না।”
ম্যাচ শেষে মাঠে লম্বা সময় উদযাপন করতে দেখা যায় ইতালিকে। কোচ-ফুটবলারদের প্রতিক্রিয়াতেও ফুটে উঠছে উচ্ছ্বাস। তবে এখনই যে তারা পুরো তৃপ্ত নন, সেটিও পরিষ্কার করে দিয়েছেন মানচিনি। “প্রায় কেউই বিশ্বাস করেনি আমরা এটা করতে পারব। তার পরও আমরা ফাইনালে। দুর্দান্ত এই রাতে ইতালিয়ানদের বিনোদনের উৎস হতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। তবে এখানেই শেষ নয়, আরেকটি ম্যাচ বাকি আছে আমাদের।” স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস যেন না আসে ফুটবলারদের মধ্যে। চুপচাপ ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন একদিনের ভেতর।