দলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন 'আমরা জিততে চাই। আমাদের প্রতিপক্ষ ভীষণ ভীষণ কঠিন একটি দল। তারাও জিততে চায়। ইউরোপীয়ান ট্রফি জেতা আমাদের কাছে স্বপ্ন। যে স্বপ্নটা সবাই মিলে দেখেছি, সেটা বাস্তব করতে চাই।' 'ইতালিকে নিয়ে চারিদিকে প্রচণ্ড উৎসাহ রয়েছে। বিদেশের মাটিতে আমরা আমাদের সন্মান অর্জন করতে না পারলেও এবার ইতালি একটু একটু করে তাদের যোগ্য স্থানে ফিরে আসছে।'
advertisement
আমাদের প্রস্তুতি নিতে সুবিধা কারণ প্রত্যেকে তাদের সেরাটা দিচ্ছে মাঠে, প্রথম থেকে শুরু করুক বা পরিবর্ত হিসেবে আসুক। ২০১২ সালে ইউরোতে স্পেনের কাছে ফাইনালে ৪-০ গোলে হারার পর প্রথমবার ইতালি কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছাচ্ছে। ভেরাত্তি বললেন 'এরকম মুহূর্ত বারবার ফিরে আসে না, আশা করছি আমরা জিতব এবং দেশের মানুষকে গর্বিত করব ' । ইতালির এই দলটা তাঁকে ১৯৮২ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটার কথা মনে করায় বলেছেন প্রাক্তন গোলরক্ষক দিনো জফ। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপেও সকলকে চমক দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আজুরি। অতএব হিসেবের বাইরে থেকে এসে বাজিমাত করে যাওয়ার ইতিহাস নতুন নয় নীল জার্সিধারীদের।
আর বর্তমান দলটা সব বিভাগেই যোগ্যতাসম্পন্ন ফুটবলারে ভর্তি। মার্কো মনে করেন টানা ভাল খেলে যাওয়ার মূল্য থাকবে না যদি না চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়। তাই ইতালির চোখ শুধুই ফাইনালে। নিজেদের ঘরের মাঠে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে মরিয়া থাকবে ইংরেজরা। যদিও ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে ইতালি।
ভেরাত্তি মিডফিল্ডে খেলছেন, মোটামুটি সাফল্য পাচ্ছেন। তবে যদি জর্জিনহো, বারেলাদের মত পার্টনার না থাকত একার পক্ষে সম্ভব হত না বলছেন ভেরাত্তি। কিন্তু ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে, ইংল্যান্ডকে হারাতে গেলে প্রত্যেককে একশো শতাংশের বেশি উজাড় করে দিতে হবে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন পিএসজি ক্লাবের এই মিডফিল্ডার।