আর আইএসএলে এই হাতে হাত যখন একে অপরের বিরুদ্ধে, তখন ক্লাইমেক্স একদম ভিন্ন জায়গায়। তাই আলাদা করে চোখ যে তাঁদের ওপর যে থাকবে সে কি আর বলার অপেক্ষা রাখে !
সুনীল-জেজে ছাড়াও এই ম্যাচে তৈরি ছিল টুকরো-টুকরো যুদ্ধের আবহ। বেঙ্গালুরুর কাছে ম্যাচটা ছিল পরিবর্তনের। আর চেন্নাইয়িনের কাছে প্রত্যাবর্তনের।
কুয়াদ্রব তখন ছিলেন সহকারী। আজ সুনীলদের দায়িত্ব তারই কাঁধে। চেন্নাইয়িন কোচ জন গ্রেগ্ররির সঙ্গে অদৃশ্যে তাই কুয়াদ্রবের লড়াইটাও ছিল মশলাদার। আসলে এই পর্যন্ত পড়ে আসার পর এটুকু ধারনা অন্তত পাওয়া যায় ম্যাচটার সারমর্ম ঠিক কতটা !
advertisement
এককথায় বলা যায় এর ভিতরে আসলে অনেকটাই স্নায়ুর লড়াই ছিল জড়িয়ে। এই স্নায়ুকে যারা কব্জা করতে পারবেন ম্যাচের দখল তাঁদের দিকে পা বাড়িয়ে থাকবে। কিন্তু সেই স্নায়ুর চাপই যেন ধরে রাখতে পারলেন না জেজে। ব্যাংগালুরু রক্ষনের ভুলে বক্সে পাওয়া দিনের সহজ সুযোগটা হারিয়ে ফেললেন। নাহলে প্রথমার্ধেই বন্ধু সুনীলকে পিছনে ফেলে দিতে পারতেন জেজে।
সুনীলও প্রথম ৪৫ মিনিটে তেমন আহামরি নয়। বরং চেন্নাই পজেশন রাখতে চেস্টা করছিল। ৫২ শতাংশ বল পজেশন ছিল তাদের পক্ষেই। কিন্তু অনেকটা স্রোতের বিপক্ষেই বেঙ্গালুরু এগিয়ে যায়। গোলদাতা মিকু। যদিও এই গোল ঘিরে বিশেষজ্ঞেরা অফসাইডের ছোট্ট বিতর্ক রাখলেন। তবে বক্সের মধ্যে থেকে মিকুর শট ছিল দুর্দান্ত ৷ এই গোলেই জেগে উঠল কান্তিরাভা। ফাইনালেও যে সুনীলরা এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ জিততে পারেননি। এই সাক্ষাতে কি হবে ? প্রশ্ন ছিল ! সঙ্গে ছিল সেই পরিবর্তন-প্রত্যাবর্তনের প্রশ্নও। কিন্তু বেঙ্গালুরু দ্বিতীয়ার্ধে যেন অনেক পরিণত। তারা পরিবর্তনই চাইছিলেন। সুনীল, মিকু চোখে পড়লেন কিছুটা। কিন্তু গোলের ব্যবধান আর বাড়াতে পারেননি তাঁরা ৷